বাজারে সরবরাহ ভালো হলেও ক্রেতা কম, বলছেন বিক্রেতারা

কারওয়ান বাজারের একটি সবজির দোকান। ছবি: স্টার

বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, মানুষের হাতে আগের মতো টাকা নেই। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, সজনা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা ও আদা ১৪০ টাকা দরে।

কারওয়ান বাজারের একটি মাছের দোকান। ছবি: স্টার

বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রাজু বলেন, 'বেচা-বিক্রি ভালো না। কাস্টমার কম, মালের দাম বেশি।'

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. রাজন মিয়া বলেন, 'রোজার মধ্যে বেচা-কেনা হইতাছে না। সবকিছুর দাম কয়েকদিন আগের থেকে এখন কিছুটা কম। কাস্টমারের তো টাকা-পয়সা লাগবো। টাকা-পয়সা থাকলে না মানুষ বাজার করবো। এর জন্য কাস্টমার কম।'

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়, চিনি ১১০ টাকায়, মসুর ডাল ১৩৫-১৪০ টাকায়, খেসারি ডাল ৭৪ টাকায়, অ্যাংকরের বেসন ৭৫ টাকায়, বুটের বেসন ১০০ টাকায়, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় এবং মুড়ি ৮০-১২০ টাকায়।

মেসার্স আমিন জেনারেল স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'গত রমজান থেকে এই রমজানে বেচা-কেনা অনেক কমে গেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আগের থেকে একটু কমেছে। আগে মানুষ হুড়াহুড়ি করে মাল নিতো, এখন তেমন নেয় না। যতটুকু পারে, ততটুকু নেয়। বাজারে মালের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে।'

তিনি বলেন, 'পাম তেলের দাম ২-৩ দিন আগে লিটারে প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে। আগে পাইকারি বাজারে প্রতি লিটারের দাম ছিল ১২৭-১২৮ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। খোলা বাজারে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪২ টাকায়।'

কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ডজন সবরি কলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, বাংলা কলা ৮০ টাকা এবং চাম্পা কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ৬০ টাকা দরে। পেয়ারার প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, আপেল (লাল) প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, আপেল (সবুজ) ২৬০ টাকা, মাল্টা প্রতি কেজি ২১০ টাকা, কমলা ২৭০ টাকা, নাসপাতি ২৮০ টাকা, বেল প্রতি পিস আকার ভেদে ৫০-৮০ টাকা, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের একটি ফলের দোকান। ছবি: স্টার

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম আকার ভেদে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ আকার ভেদে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, ইলিশ মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা। শোল মাছ ৬০০-৬৫০, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, টেংরা মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা, আইড় মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের ভাই ভাই স্টোরের মাছ বিক্রেতা মো. মাসুম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রমজান মাসে বিক্রি কম। মানুষের হাতে তেমন টাকা-পয়সাও নাই, সেজন্যও বেচা-বিক্রি কম।'

আরেক মাছ বিক্রেতা মনির বলেন, 'রমজান মাসে বেচা-বিক্রি কম হয়। রোজার আগে কাস্টমার ভালো ছিল, এখন কম।'

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা দরে।

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

6h ago