ইমরুলের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের টানা তৃতীয় জয়
অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ঝড়ো ফিফটি তুলে নিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও তরুণ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসানও। তাতে বিশাল পুঁজিই মিলে মোহামেডানের। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
শনিবার সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে সিটি ক্লাবকে ১০১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৮৪ রান তোলে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সমর্থ হয় সিটি ক্লাব।
অথচ এবার আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয় শূন্য ছিল মোহামেডান। তাতে চোখ রাঙাচ্ছিল অবনমনও। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ক্লাবে ফিরলে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। এরপর টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জয়ের ভিতটা এদিন ব্যাটাররাই গড়ে দেয় মোহামেডানকে। আসরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান ইমরুল। রিটায়ার্ড আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১১৪ রানের ইনিংস। ১২১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১০ চার ও ৩ ছক্কা। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ২০৫ ম্যাচে এটি তার ১২তম সেঞ্চুরি।
মাহমুদউল্লাহ ও অঙ্কন পান চলমান ডিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহ ৫৯ বলে ১২০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে করেন ৭১ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৪ ছক্কা। অঙ্কন ২ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৫ স্ট্রাইক রেটে ৬৫ রান করেন ৫২ বল মোকাবিলায়।
ইমরুল স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়ার পর উইকেটে আসেন সাকিব। ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস ১৬২.০ স্ট্রাইক রেটে। ২টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তার ইনিংসের ইতি ঘটে সিটির অফ স্পিনার রাইয়ান রাফসান রহমানকে ওড়াতে গিয়ে। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বল উঠে যায় আকাশে। শর্ট থার্ড ম্যান থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার ইফতেখার সাজ্জাদ।
সিটি ক্লাবের রায়ান রহমান ৬৮ রানের খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ২টি শিকার অধিনায়ক আসিফ আহমেদের।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিটি। এরপর অবশ্য আবদুল্লাহ আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালান অধিনায়ক আসিফ আহমেদ। ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন মামুন। ৬৫ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক আসিফ ৯৬ বলে করেন ৫২ রান। এছাড়া ৩৬ রান করেন তৌফিক খান। মোহামেডানের পক্ষে ৬৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন জ্যাক লিনটট। সাকিব ৩৬ রানের বিনিময়ে পান একটি উইকেট। ১টি শিকার মেহেদী হাসান মিরাজেরও।
সাভারে দিনের অপর ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৪ ওভারে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। জবাবে মেহেদী মারুফের ৬৯ ও ফরহাদ হোসেনের ৪৮ রানে ৩৮.২ ওভারে লক্ষ্য পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ।
ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শুভাম শর্মার ৭৪ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২২৮ রান করেছিল শাইনপুকুর। জবাবে আরাফাত সানি জুনিয়রের অপরাজিত ৫৫ ও সাদ নাসিমের অপরাজিত ৬২ রানে ৯০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ব্রাদার্স।
Comments