প্রিমিয়ার লিগে শান্ত-নাসিরের সেঞ্চুরি

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আগের দুই ম্যাচে রানের দেখা পাননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে নিজের তৃতীয় ম্যাচে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আবাহনী লিমিটেডের এ ব্যাটার। একই দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের নাসির হোসেনও। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তিনি।

রোববার সাভারের বিকেএসপিতে সিটি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারানোর ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্পিনারদের ঘূর্ণিতে পড়ে ৩৯.২ ওভারে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১১২ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

এদিন স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শুরুতে থেকে চাপে থাকা সিটি ক্লাবের হয়ে একমাত্র তৌফিক খান কিছুটা লড়াই করেছিলেন। ৫১ বলে খেলেন ৭৯ রানের ইনিংস। ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। সবশেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আবাহনীর লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন পেয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়া তানভির ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারালে শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ১০৫ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় আবাহনী। এরপর জয় আউট হলেও জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৮৯ বল বাকি থাকতেই জয় পায় তারা। সিটি ক্লাবের রবিউল হক পান ৪টি উইকেট।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। আগের ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৭৩ রান করে অগ্রণী ব্যাংক। জবাবে নাসিরের সেঞ্চুরিতে ২০ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে প্রাইম ব্যাংক।

টস হেরে ব্যাট কতে নেমে উসমান খান, সাদমান ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক। ৯ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রান করেন সাদমান। ৫৬ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৮ রান আসেন জহুরুলের ব্যাট থেকে। ৯১ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন উসমান। এছাড়া মার্শাল আইয়ুব অপরাজিত ৩৪ ও আবু হায়দার রনি অপরাজিত ৩৬ রান করেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের উইকেট হারালেও শাহাদাত হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৭৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক। এরপর দ্রুত এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন নাসির। ৯৮ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১২ রান করেন এ ব্যাটার। ৬১ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৫৩ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ৫৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন মিঠুন।

সাভারের বিকেএসপিতে দিনের অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তাদের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। জবাবে সাইফ হাসানের ৭৮ ও রবিউল ইসলামের ৫৮ রানে ভর করে ১৩১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল।

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL ban with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

1h ago