শান্তর পর ফিরলেন হৃদয়ও, ফের চাপে বাংলাদেশ

৫০ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামলে নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা শান্ত আউট হলেন রানের গতি আরও বাড়াতে গিয়ে। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকলেন না হৃদয়ও। ফলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল।

মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ রানে উইকেটে আছেন।

দলীয় ৫২ রানে দুই ওপেনারসহ সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন শান্ত। অসাধারণ কিছু শটে গড়েন ৫০ রানের জুটিও। তবে দলীয় শতরান তুলে নেওয়ার পর কার্টিস ক্যাম্পারের বলে পুল করতে গিয়ে মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়েন মিড উইকেটে। ফিফটির সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি থামে ৪৪ রানে। ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চারে।

এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ করতেই ফিরে যান হৃদয়। গ্রাহাম হিউমের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারৎ দেন তিনি। তার ফুল লেংথ বলটি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। অবশ্য ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক। ৩১ বলে ২৭ রান করেন এ তরুণ। 

এর আগে এদিন রানের খাতা খোলার আগে নিজের প্রথম বলে আউট হয়েছেন লিটন। জস লিটলের বলটি ছিল ইয়র্কার ধরণের। ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করার আগেই আঘাত হানে তার বুটে। আইরিশদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ না নিয়েই মাঠ ছাড়েন লিটন। এদিনের গোল্ডেন ডাকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন লিটন।

আরেক ওপেনার তামিমের শুরুটা ছিল ভালোই। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিরেছেন মার্ক অ্যাডাইরের বলে। তার অফস্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় চলে যায় উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। যদিও আম্পায়ার শুরুতেআউট দেননি। তবে সফল রিভিউতে তাকে ফেরায় আইরিশরা।

দ্রুত (দলীয় ১৫ রানে) দুই ওপেনারকে হারানোর পর শান্তর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সাকিব। ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। উইকেটে নেমেই খেলতে থাকেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। দারুণ কিছু শটে আদায় করে নেন বাউন্ডারিও। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে হিউমের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তাতে ফের চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন শান্ত ও হৃদয়।