হেফাজতে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন, ঠাকুরগাঁও থানার ওসি প্রত্যাহার
ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় নির্যাতনের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তাকে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শকের অফিস রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অফিসার ইন চার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি ।
গতকাল পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে যুবলীগ নেতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে আদেশ দেওয়ার সময় থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসাদুজ্জামান পুলকের চিকিৎসা প্রতিবেদন আদালতে দাখিল ও ভুক্তভোগীকে হস্তান্তরের জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া, এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দীনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে দাখিলকৃত আবেদনে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসির কার্যালয়ে পুলককে লাঠি দিয়ে পেটান ওসি কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব। পরদিন সকালে পুলিশ ১৫১ ধারায় একটি মামলা দিয়ে পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।
গত ২ মে পুলক জামিনে মুক্ত হন। সেদিনই অসুস্থ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে গতকাল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মারধরের কারণে তার বাম হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভুক্তভোগী পুলক ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নির্যাতনের বিচার চেয়ে একটি আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।'
Comments