ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ

শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আবাহনী

abahani limited
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগেরবার আবাহনীর হ্যাটট্রিক জয়যাত্রা থামিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি। এবারও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে ছিল তারা। তবে অলিখিত ফাইনালে শেখ জামালকে হারিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের শেষ ম্যাচে শেখ জামালকে  ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাট করে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ফিফটিতে ২৮২ রান করেছিল শেখ জামাল। রান তাড়ায় এনামুল হক বিজয় আর নাঈম শেখের পর ফিফটি করেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। তাতে করে  ৪  বল আগে জয়ের বন্দরে চলে যায় আবাহনী।

ঢাকা শীর্ষ লিগের ইতিহাসে আবাহনীর এটি ২২তম শিরোপা।

রান তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় আবাহনী। পুরো লিগে দারুণ ছন্দে থাকা বিজয় আর নাঈম অলিখিত ফাইনাল মঞ্চেও টেনে আনেন তাদের ছন্দ। ওভারপ্রতি সাড়ে পাঁচের উপর রান তুলে ওপেনিং জুটিতেই ১৪৫ রান এনে ফেলেন তারা।

রানে বলে মিলিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই চলে আসে ১৪৫ রান। তাইবুর রহমান পারভেজের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৯ বলে ৬৮ রান করেন নাঈম।

anamul Haque Bijoy & Naim Sheikh
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এরপর ছোটখাটো একটা ধস নামে আবাহনী ইনিংসে। ৮১ বলে ৭২ করে আরিফ আহমেদের শিকার হন বিজয়। তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ও ছিলে বিবর্ণ। ১৮ বলে ৯ করে তিনিও শিকার তাইবুরের।

জাকের আলি অনিককে আউট করে সামান্য আশা জাগিয়েছিল শেখ জামাল। ৬৮ রানের জুটিতে সেই আশা মিইয়ে দেন আফিফ হোসেন আর মোসাদ্দেক হোসেন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ২২  বলে ২২ করে আউট হন পারভেজ রসুলের বলে। শেষ দিকে খুশদিল শাহও ফিরে যান। তবে অপরাজিত ৫৩ বলে ৬০ রানের ইনিংসে কাজটা শেষ করেছেন আফিফ।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং  বিপর্যয়ে পড়ে শেখ জামাল। তানভীর ইসলামের বলে কোনো রান করার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাইফ হাসান আরেক ওপেনার  সৈকত আলি ১১ বলে ৮ রান করে খুশদিলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। 

তিন নম্বরে খেলতে নেমে বড় রান করতে পারেননি রবিউল ইসলাম রবিও। ১১ বলে ৫ রান করে তিনি আউট হলে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শেখ জামাল।  এরপর তাইবুরকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ফজলে মাহমুদ। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন তারা। অনেকটা ধীর লয়ে খেলা তাইবুর ৮৫ বলে ৫৩ করলে থামলে ভাঙে এই জুটি।

শেখ জামালের আসল খেলা শুরু হয় এরপর। সোহান নেমে বদলে দিতে থাকেন খেলার পরিস্থিতি। পারভেজের সঙ্গে আসে ৮৩ রানের জুটি। পারভেজ ৩৭ বলে ৪২ করে ফিরলেও ৭০ বলে ৮ চার, ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান সোহান। যদিও পরে মনে হয়েছে অন্তত ১৫ রানের ঘাটতি ছিল তাদের।

Comments

The Daily Star  | English
earthquake in Bangladesh

Hundreds feared dead after 6.0 magnitude earthquake strikes Afghanistan

The quake was at a depth of 10 km (6.21 miles), GFZ said.

2h ago