মোখার ‘পিক আওয়ার’ দুপুর ১২টা-৩টা, ১০০ কিলোমিটার হতে পারে বাতাসের গতি

স্যাটেলাইট ইমেজ

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর পাশের এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পিক আওয়ার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝড়ের উপকূলমুখী গতি কমে যদি বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্র স্থলভাগ অতিক্রম করে তাহলে জলোচ্ছ্বাস ১২ ফুট অতিক্রম করতে পারে।

আজ রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, 'মোখা আঘাত হানতে শুরু করেছে ভোররাত ৩টায়।' 

তিনি আরও বলেন, 'এখন পর্যন্ত ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ আছে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, কেন্দ্রের বাইরে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।'

'ঝড়টি রাতে যখন উপকূলে আঘাত হানে তখন স্থলভাগের দিকে এর এগোনোর গতি ছিল ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার। সকালে এই গতি কমে ১৭ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এই গতিতে এগোলে আজকে বিকেল নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে,' বলেন তিনি।

আজিজুর রহমান বলেন, 'মূল ঝড় অতিক্রম করবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে। এই সময় পুরো কেন্দ্র স্থলভাগ অতিক্রম করবে। সেই সময় তীব্র বাতাসের পাশাপাশি ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হবে। এই সময়টা হবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময়।'

'ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের নিচ দিয়ে অতিক্রম করছে। বিকেল ৪টা জোয়ারের সময়। ওই সময় নাফ নদীতে জোয়ারের পরিমাণ ২ দশমিক ৭ মিটার। সেই সময় হলে জলোচ্ছ্বাস ১২ ফুট অতিক্রম করতে পারে,' আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মোখার পিক আওয়ার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা জানিয়ে তিনি বলেন, 'ওই সময় বাতাসের গতি হবে সর্বোচ্চ। আমরা সকাল ৯টায় সেন্টমার্টিনে ৪০ কিলোমিটার উইন্ড পেয়েছি। এই উইন্ড গ্র্যাজুয়ালি বাড়ছে। সময় যত বাড়ছে বাতাসের গতি ততই বাড়তে থাকবে। দুপুর ৩টায় বাতাসের গতি ১০০ কিলোমিটারের উপরে রেকর্ড হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।'

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি একটি "সংগঠিত ঘূর্ণিঝড়"। দুর্বল ঝড় হলে আগেই মেঘ ছড়িয়ে পড়ে। মোখার ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। আমরা মনে করছি, দুপুর ১২টা থেকে ৩টা হবে মোখার পিক আওয়ার। সেই সময় হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসবে, তীব্র বাতাস হবে এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago