রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৬৬, সচেতনতার ঘাটতি বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকার পর দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী কক্সবাজারে। সেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। চলতি বছরেও হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সচেতনতার অভাবে ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত (১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে) ১ হাজার ৬৬ জন রোহিঙ্গা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যাচ্ছে না।'

নাজমুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকায় ওয়াসার পানি সঠিক ব্যবস্থাপনায় ধরে রাখা গেলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে, অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেয়। এ ছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।'

'ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জায়গায় কম মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি,' বলেন তিনি।

ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে নাজমুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।'

রোগী জটিলতার ব্যাপারে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, 'ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ঠিক ব্রাজিলের মতোই। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।'

Comments

The Daily Star  | English

CA approves draft Anti-Terrorism Ordinance

Draft includes provision to ban an entity's activities, restrict terrorism-related content online

18m ago