তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৫ মিনিট থমকে দাঁড়াল রংপুর

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে রংপুরে `স্তব্ধ কর্মসূচি' পালিত হয়েছে।

'তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও' সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিভাগের ২৯টি পয়েন্টে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। ৫ মিনিট সবকিছু থেকে থমকে দাঁড়ায় রংপুর।

নগর ভবনের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

এ সময় মেয়র বলেন, 'তিস্তার ভাঙন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘশ্বাসে তিস্তা পাড়ের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে আছে। তিস্তার দুঃখ লাঘবে আমরা তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছি।'

'তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ তিস্তা ইস্যুতে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তিস্তা আন্দোলন বর্তমানে গণজাগরণে রূপ নিয়েছে', যোগ করেন তিনি।

আগামী বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, 'অন্যথায় এ আন্দোলন আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে।'

কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিস্তা আন্দোলনের মূল দাবি অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদী খনন, অকাল বন্যা, ভাঙন নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকের ফসলের সুরক্ষা। আন্দোলনের লক্ষ্য ২টি। ১ হচ্ছে আন্তদেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তা অববাহিকার ২ দেশ মিলে অববাহিকাভিত্তিক তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এবং ২ হচ্ছে দেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তা নদী খনন, ভাঙন রোধে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

এর একটিও বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ১১৫ কিলোমিটারব্যাপী তিস্তা অববাহিকার জনপদের ২ কোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে মহাদুর্যোগ। খরা, বন্যা ও নদী ভাঙনে তিস্তা পাড়ের ঘরে ঘরে চলছে আহাজারি। নদী ভাঙনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বর্তমানে কোথাও কোথাও তিস্তা নদীর প্রস্থ হয়েছে ১০-১২ কিলোমিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি ক্রমাগত বেসামাল হয়ে উঠছে। বাড়ছে খরার প্রকোপ।

বক্তারা আরও বলেন, পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে অসময়ের বন্যা ও নদী ভাঙনের ভয়াবহতা। ঘটছে ব্যাপক ফসলহানি। হুমকিতে পড়েছে খাদ্য নিরাপত্তা। বাড়ছে উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানির সভাপতিত্বে স্তব্ধ কর্মসূচিতে রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মফিজার রহমান চাঁন, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাসদের রংপুর জেলা সভাপতি সাখাওয়াত রাঙ্গা, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English

'Most of them had lost parts of their skulls'

167 admitted to National Institute of Neurosciences & Hospital during July uprising, doctor tells ICT-1

10m ago