বরিশাল সিটি নির্বাচন

হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ফয়জুলের ওপর হামলা

ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অভিযোগ জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী ফয়জুল করিম। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী ফয়জুল করিম।

তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অভিযোগ জানান তিনি।  

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিত না। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।'

পুলিশ কমিশনার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ফয়জুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে শুনতে পাই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা বলেছে, নৌকায় ভোট না দিলে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমি সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলি। কেন্দ্রের ভেতরে বাইরের লোকজন ছিল, দায়িত্বে নাই এমন লোকজন ছিল। তারা নৌকার ব্যাজ পরা। তারা জড়ো হয়ে আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। আমি আমার সমর্থকদের সরাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'

'তাদের হামলায় আমিসহ কয়েকজন আহত হয়েছি। আওয়ামী লীগের লোকজন, নৌকার ব্যাজধারী লোকজনই আমাদের ওপর হামলা করেছে,' বলেন তিনি।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রায় সব সেন্টারে প্রভাব বিস্তার করছে আওয়ামী লীগ। তবু আমি শেষ পর্যন্ত থাকব। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী আফজালুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কে বা কারা এ হামলা করেছে, তা আমরা জানি না।'

পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের লোকেরা বরিশালের বাইরে থেকে লোক এনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি-সোঠা নিয়ে অবস্থান করছে, মিছিল করছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।'

এদিকে ফয়জুল করিমের ওপর হামলার পর বরিশালের হাতেম আলী চৌমাথার এলাকায় হাতপাখার সর্মথকরা জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়। এসময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন দলটির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। পুলিশ বাহিনীর একটি ছোট দল বিক্ষোভকারীদের পাশে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে নিজের ওপর হামলা ও কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিম।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উনি (মুফতি ফয়জুল করীম) যে অভিযোগ নিয়ে আমাদের এখানে এসেছেন তার সবটা সত্য না। উনি এখানে আসার ৪৫ মিনিট আগেই আমরা আমাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে কাছাকাছি কিছু অভিযোগ জানতে পেরেছিলাম। দ্রুত সেটার সমাধান করা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে ওনাকে আশ্বস্ত করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

3h ago