ভাতা বাড়ানোর দাবিতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের বিক্ষোভের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভাতা বাড়ানোর দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বেসরকারি চিকিৎসকরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা এ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ৪টায় তারা উপাচার্য কার্যালয় থেকে ফেরত আসেন। 

বিএসএমএমইউর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আবাসিক চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বর্তমানে ২০ হাজার টাকা। এই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি চিকিৎসকের।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমান সোহাগ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা যাওয়ার পর উপাচার্য আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননিও। সেখানে উনার কর্মচারীরা, আনসার ও পুলিশ আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সেখানে গেছি। আমাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা ছিল উপাচার্যের কাছে। কিন্তু ৪ জন ঢোকার পর কক্ষ তালা মেরে দেওয়া হয়। ভেতরে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়।'

তাদের ৩টি দাবির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রথমত আমাদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করতে হবে, দ্বিতীয়ত আমাদের নিয়মিতকরণ করতে হবে এবং তৃতীয়ত আমাদের যে বকেয়া আছে সেটা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু উপাচার্য আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কথা না বলে আন্দোলন দমাতে তিনি আমাদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আমাদের জামাত-শিবির ট্যাগ দিয়ে বলেছেন এটা সরকারবিরোধী আন্দোলন।' 

সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের কর্মসূচি ১৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছি। ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে, আমরা নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করব। আমরা কর্মবিরতিতে যাব। সব চিকিৎসকরা আমাদের দাবির পক্ষে আছেন।'

চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চিকিৎসকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার কোনো ঘটনা হয়নি।'  

চিকিৎসকদের দাবি প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, 'এর আগেই ভাতা বৃদ্ধি দাবি জানার পর আমরা এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পরে আমি মন্ত্রীর সঙ্গে এই রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর মধ্যে তারা আজ হঠাৎ করেই এখানে আন্দোলন শুরু করল। তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তাদের সঙ্গে আমি সরকারের আলোচনার ব্যবস্থা করে দিতে মধ্যস্থতা করতে পারি।'     
 

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

9h ago