‘ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নৌপথে বাড়ি যাবে ৩০ লাখ মানুষ’

ছবি: সংগৃহীত

বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আসন্ন ঈদে নৌপথে উপকূলীয় জেলায় রওনা হবেন।

এর মধ্যে ৩ লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।

নৌ-পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রাক-ঈদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদরঘাট গৃহমুখী মানুষের অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হবে।

রোববার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।

অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।

এরমধ্যে এই ঈদে লঞ্চে যাবেন ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ)। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই উপকূলীয় জেলা-বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ২২ জুন থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সব যাত্রী ২২ থেকে ২৬ জুন (ঈদের আগের দিন) এই ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি যাবেন।

তবে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে তাদের গন্তব্যে যাবে। এর মধ্যে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে।

নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ রয়েছে।

তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।

নৌযানের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ এর কাছাকাছি।

এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।

নাগরিক সংস্থাটি আরও বলেছে, যদি প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার যাত্রী বহন করা হয়, তবে একটি লঞ্চ গড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী বহন করবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই ২ হাজারের বেশি লোক বহন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা ১ হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের ৩ দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।

অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে ৩ গুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।

এতে নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Drug smuggling via air, land routes on the rise

This grim picture emerges as Bangladesh, like other countries around the world, observes the International Day Against Drug Abuse and Illicit Trafficking today.

12h ago