ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন স্পেন
নির্ধারিত সময়ে সমান তালেই লড়াই করল ক্রোয়েশিয়া। সমান তালে লড়াই হয় অতিরিক্ত সময়েও। কিন্তু ভাগ্যটা সঙ্গে পেল না টাই-ব্রেকারে। গোলরক্ষক উনাই সিমোনের দৃঢ়টায় নেশন্স লিগ জিতে নেয় স্পেন। এ আসরের গত ফাইনালেও উঠেছিল ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ীরা।
রটারডামের ডি কুইপ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন।
টাই-ব্রেকারে প্রথম তিন শটেই লক্ষ্যভেদ করে দুই দল। চতুর্থ শট নিতে এসে মিস করেন মায়ের। তার শট পা দিয়ে আটকে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোন। তবে ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্তে শেষ শটটি মিস করলে ফের জমে যায় ম্যাচ। কিন্তু সাডেন ডেথে ব্রুনো পেতকোভিচের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সিমন। এরপর দানি কারভাহাল লক্ষ্যভেদ করতেই উল্লাসে মাতে স্প্যানিশরা।
ফলে আরও একবার আক্ষেপে পুড়তে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ক্রোয়েটরা এবার বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। সেমি-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
অন্যদিকে টানা দুটি বিশ্বকাপ ও শেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে টাই-ব্রেকারে হেরে বিদায় নেওয়ার পর অবশেষে সেই টাই-ব্রেকারে জিতে গেঁরো খুলল স্প্যানিশরা। ১১ বছর পর মাতল শিরোপা উল্লাসে। তিনবার ইউরো জয়ী দলটি এবারই প্রথম জিতল নেশন্স লিগ।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন। ফাবিয়ান রুইসের বাড়ানো ধরতে তালগোল পাকিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার দমিনিক লিভাকোভিচ। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোললাইন থেকে ফেরান তিনি। দুই মিনিট পর গাভির শট বল পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
২৩তম মিনিটে মার্টিন এমরিকের বাড়ানো থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে আন্দ্রেই ক্রামারিচ বল পেলেই নিয়ন্ত্রণে নিতে কিছুটা দেরি করলে দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় ক্রোয়েশিয়ার। লাপোর্তের দারুণ ট্যাকলে রক্ষা পায় স্পেন। আট মিনিট পর লুকা মদ্রিচের ক্রস থেকে ইভান পেরিসিচের নেওয়া হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
৮৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন বদলি খেলোয়াড় আনসু ফাতি। বাঁ প্রান্ত থেকে মিকেল মেরিনোর ক্রসে ফাঁকায় পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তার শটে তেমন জোড় না থাকায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পেরিসিচ। অতিরিক্ত সময়ের দশম মিনিটে মাইয়ের একটি প্রচেষ্টা নষ্ট করে দেন নাচো ফার্নান্দেজ।
Comments