কুড়িগ্রাম

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দুধকুমার নদীর পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রায় ৩০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০ গ্রামে পানি ঢুকছে।

আজ বুধবার বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানী এলাকায় বাঁধ ভেঙে দুধকুমার নদীর পানি তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়ে।

বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাঁধ ভাঙায় বামনডাঙ্গা, তেলিয়ানী, মালিয়ানী, বড়মানি, ধনিটারী, অন্তাইপাড়, সেনপাড়া, পাটেশ্বরী, বোয়ালেরডারা ও পুর্ব সানজুয়ারভিটা এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। 

পানিতে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্রে চলে যেতে হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। 

তেলিয়ানী গ্রামের কৃষক সাদেক আলী (৬০) বুধবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নদীর পানি গ্রামে ঢুকেছে। আমার ৩ বিঘা জমির পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পানি আসা বন্ধ না হলে বাড়িঘর ছাড়তে হতে পারে।'

বামনডাঙ্গার ইউপি সদস্য আবেদ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে দুধকুমার নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। বুধবার ভোরে বাঁধ ভেঙে যায়।'

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে ঢোকার পর বালুভর্তি জিও ব্যাগ, জিও টিউব, বোল্ডার ফেলে পানির গতিরোধ করার চেষ্টা চলছে।'

বুধবার সকাল থেকে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

নাগেশ্বরীর ইউএনও ফারজানা জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি ভেঙে যাওয়া বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন। 

নদীর পানি না বাড়লে বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে আসা পানির গতিরোধ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

6h ago