যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় বন্দুক হামলায় নিহত ৪

যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছর বয়সী যে কেউ তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই দোকান থেকে বন্দুক কিনতে পারেন। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছর বয়সী যে কেউ তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই দোকান থেকে বন্দুক কিনতে পারেন। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর ফিলাডেলফিয়ায় বন্দুক হামলায় ৪ ব্যক্তি নিহত ও আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ১ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে।

গতকাল সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স ফিলাডেলফিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলাডেলফিয়া পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে 'একাধিক ব্যক্তি গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন।' তবে তিনি আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাননি।

ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়ারার পত্রিকার দেওয়া সংবাদ অনুযায়ী স্থানীয় সময় রাত ৮টা বেজে ৩০ মিনিটে গোলাগুলি শুরু হয়। ১০ মিনিট পর পুলিশের কর্মকর্তারা জানান তারা একজন ব্যালিসটিক ভেস্ট (এক ধরনের বুলেটপ্রুফ পোশাক) পরিহিত পুরুষকে আটক করেছেন। ঘটনাস্থলের কাছে একটি গলি থেকে ১টি রাইফেল ও ১টি পিস্তল উদ্ধারের বিষয়টিও তারা নিশ্চিত করেন।

ইনকোয়ারার ও ফিলাডেলফিয়ার টিভি চ্যানেল ডব্লিউপিভিআই (এবিসি নিউজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) জানিয়েছে, ২ কিশোর গুলির আঘাত পেয়েছেন। তবে তারা নিহতদের মধ্যে আছেন কী না, তা জানা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ফোর্থ জুলাইর উৎসবের আগে এই সহিংসতার নেপথ্যের কারণ ও ঘটনাক্রমে এখনো জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, এ ঘটনাটি ফিলাডেলফিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের কিংসেসিং অংশে ঘটে। এ জায়গাটি শাইকিল নদী থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।

ডব্লিউপিভিআই টিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি মোড়ে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি রাখা আছে। সেগুলোতে লাল-নীল আলো জ্বলছে, নিভছে। সড়কের একটি অংশে 'ক্রাইম সিন' নির্দেশক হলুদ ও লাল টেপ দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রাখা হয়েছে।

ঠিক ১ দিন আগেই বালটিমোরে ব্লক পার্টিতে বন্দুক হামলার ঘটনায় ২ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। আহতদের অর্ধেরই শিশু। পুলিশ এখনো এ ঘটনার সন্দেহভাজনদের খুঁজছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago