রেকর্ড জুটির পর গুরবাজকে ফেরাতে পেরেছে বাংলাদেশ
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এক প্রান্তে ঝড় তুলে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে আফগানদের এনে দিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আরও বড় পুঁজির দিকে। তবে শেষ পর্যন্ত গুরবাজকে ফেরাতে পেরেছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের বল এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন তিনি। তবে এর আগে খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন ১৪৫ রানের ইনিংস।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভারে ১ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছে সফরকারীরা। ইব্রাহীম ব্যাট করছেন ৮৩ রানে। নতুন ব্যাটার অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি ব্যাট করছেন ১ রানে।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে এসে ২৫৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। এর আগে ওয়ানডেতে আফগানদের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ২১৪ রানের। ২০১০ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জুটিটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও করিম সাদিক। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে আফগানদের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ৭৯ রানের। গত বছর এই চট্টগ্রামের মাঠেই সে জুটি গুরবাজের সঙ্গী ছিলেন রিয়াজ হাসান।
গুরবাজকে ফেরানোর ঠিক পরের ওভারে রহমত শাহকেও তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছে টাইগাররা। তবে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন ইব্রাহীম।
এদিন ধারহীন বোলিংয়ে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন দুই আফগান ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দারুণ ইনিংস খেলেন গুরবাজ। ১২৫ বলে করেন ১৪৫ রান। যেখানে ১৩টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ৮টি।
সাকিবের বলে আউট হওয়া এ ব্যাটার তার বলেই সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন। ঠিক ১০০ বলে আসে তার এই সেঞ্চুরি। তাতে ৮ চারের সঙ্গে ছিল ৬টি ছক্কা। এর আগে এই সাকিবকে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে পূরণ করেছিলেন নিজের ফিফটি। তার সঙ্গী ইব্রাহীম ফিফটি স্পর্শ করেন ৭৫ বলে।
এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলাররাও তেমন কিছুই করতে পারেননি। আলগা বল করেছেন নিয়মিত। যার পুরোপুরি সুবিধা নিয়েছে সফরকারীরা। তাতে রানও এসেছে দ্রুতগতিতে। জুটি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেও নিয়মিত পাঁচ বোলারের বাইরে অন্য কোনো পার্ট টাইম বোলার দিয়েও চেষ্টা করেননি তামিম ইকবালের পরিবর্তে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস।
তবে এই জুটি ভাঙার দুরূহ একটি সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তা লুফে নিতে পারেননি তারা। সাকিবের লং অফে ক্যাচের মতো তুলে দিয়েছিলেন ইব্রাহীম। তবে সীমানা থেকে অনেকটা ছুটে এসে চেষ্টা করলেও তালুবন্দি করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। তখন ১০ রানে ব্যাট করছিলেন ইব্রাহীম।
Comments