কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প: বিক্রয় পরবর্তী সেবা না পেয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

কৃষক, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প, আইএমইডি
ছবি: শেখ নাসির/স্টার

সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে বিক্রয় পরবর্তী সেবা না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, তারা সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় বিক্রিত যন্ত্রাংশের বিক্রয় পরবর্তী সেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে সরকার কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছরের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এর উদ্দেশ্য ছিল কৃষকরা যাতে ফসলের উত্পাদন বাড়াতে, সময় বাঁচাতে ও মুনাফা নিশ্চিত করতে পারে।

আইএমইডির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কৃষকরা সরকারের নিয়োগকৃত স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে যন্ত্রপাতির বিক্রয়োত্তর পরিষেবা পেতে দেরি ও অন্যান্য সমস্যায় পড়ছেন।

শর্ত অনুসারে, এই প্রকল্পের আওতায় যেসব কৃষক সরকারের নিয়োগকৃত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবেন তারা ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, কম্বাইন হারভেস্টার, পাওয়ার থ্রেশার ও রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মতো যন্ত্রপাতির জন্য কৃষকরা ১ বছরের ওয়ারেন্টি পাবেন। যন্ত্রের ত্রুটি শনাক্ত করে তা মেরামতের বিষয়টি ওয়ারেন্টিতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য এসিআই মোটরস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড ও এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ মোট ৩৪ কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

হাওর ও উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে পারবেন। অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকরা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

২০০৯ সালে শুরু হওয়া কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সরকারের ভর্তুকি ও যান্ত্রিক চাষের সুবিধা দিতে এটি তৃতীয় প্রকল্প।

কিন্তু আইএমইডি-র সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৭৪ শতাংশ কৃষক অভিযোগ করেছেন যে ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্যদের তালিকায় নাম পেতে তারা অসুবিধায় পড়ছেন।

প্রায় ৪৩ শতাংশ কৃষক বলেছেন যে তারা অর্থ দেওয়ার পরও যন্ত্রপাতি পেতে বেগ পেয়েছেন। প্রায় ৬ শতাংশ কৃষকের দাবি, তারা নিম্নমানের সরঞ্জাম পেয়েছেন।

৩২ জেলার ১ হাজার ৮২৪ কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

২০২১ সালে টাঙ্গাইলের আবেদিন ইকুইপমেন্ট লিমিটেড থেকে কম্বাইন হারভেস্টার কিনেছিলেন মোহাম্মদ শওকত আলী। তিনি ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথম বছর যন্ত্রপাতি ভালো কাজ করেছিল। বলেন, 'কিন্তু তারপর থেকে এই দামি মেশিনের কর্মক্ষমতা খারাপ হতে শুরু করে।'

'বিক্রয়োত্তর পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়ি। তাই উত্পাদনশীলতা কমে গেছে,' যোগ করেন তিনি।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Farm mechanisation project: Farmers allege difficulties in availing after-sales services লিংকে ক্লিক করুন।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago