‘সভা-সমাবেশ হলে ইন্টারনেট বন্ধ করা দুঃখজনক’

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টারনেট,

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারি নির্দেশনায় অতি জরুরি মানবিক ও নাগরিকের জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক অধিকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী।

আজ বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সংবিধানে আমাদের নাগরিকদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশের মতো সভা-সমাবেশ ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের পথ বন্ধ করতে ইন্টারনেটের মতো জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।'

এতে আরও বলা হয়েছে, 'ইতোপূর্বে আরও ৬ বার বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ নয়াপল্টনে জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরানা পল্টন, কাকরাইল এমনকি মতিঝিল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমেরিকাভিত্তিক অ্যাক্সেস নাও ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রাখার যে তথ্য প্রদান করেছে, তাতে ৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে আছে।'

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আজ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, রাজধানীর বড় বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সচিবালয় ছিল। লাখ লাখ মানুষ তাদের জরুরি কাজে ইন্টারনেট সেবা যেমন ব্যবহার করতে পারছে না, ঠিক একইভাবে গণমাধ্যম কর্মীরাও সভা-সমাবেশের সংবাদ সরবরাহ করতে পারছেন না। আমরা বলব সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা রাজনৈতিকভাবেই করবেন। নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিপন্থী। আগামী দিনে এ ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আরও যত্নবান হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Drafting new constitution can take a long time: Asif Nazrul

He proposed that the next parliament can act as constitutional authority and amend the 1972 constitution until a new one is enacted

1h ago