ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

তৈরি পোশাক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

নিটওয়্যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের বাজার সম্ভাবনাময়। দেশটিতে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।'

পরিবেশবান্ধব প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড ভারতেও তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।

'ভারত একটি বড় বাজার। সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্রমবিকাশমান। সেখানকার মধ্যবিত্তদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে,' যোগ করেন তিনি।

১৪ বছর আগে প্রতিবেশী দেশটিতে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

সবচেয়ে বেশি রপ্তানি বেড়েছে গত ৩ বছরে। ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪২১ মিলিয়ন ডলার থেকে গত ৩ বছরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।

ফজলুল হকের মতে, 'অতীতে বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে হয়তো সংশয় ছিল। এখন সেটা দূর হয়েছে।'

বিজিএমইএর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতে রপ্তানি আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে।'

শুধু ভারতেই নয়, গত অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়াতেও পোশাক রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

তৈরি পোশাক
ছবি: সংগৃহীত

২০২২-২৩ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়ীরা ১ হাজার ১৫৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস পাঠিয়েছেন। এটি এর আগের বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।

তিনি আরও বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া আরেকটি বড় বাজার। সেখানে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে।'

জাপানকে আরেকটি সম্ভাবনাময় বাজার বলছেন রুবেল।

বিজিএমইএর তথ্যে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীনের পর এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানে রপ্তানি ৪৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, 'এটি একটি ফাস্ট ফ্যাশন বাজার। জাপানিদের ক্রয় ক্ষমতা অনেক।'

তিনি আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে নতুন নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি ৩১ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এর ফলে প্রথাগত নয় এমন বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ শতাংশ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ প্রচলিত বাজারগুলো থেকে পোশাক রপ্তানি আয় কমেছে।

মহিউদ্দিন রুবেলের মতে—উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ক্রেতাদের অতিরিক্ত পোশাক মজুদ ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব প্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago