৪ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন ২ মার্কিন কংগ্রেসম্যান

রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ২ মার্কিন কংগ্রেসম্যান—রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আগামী ১২ থেকে ১৫ আগস্ট তারা বাংলাদেশ সফর করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসবেন, কিন্তু আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করবেন।'

রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বড় দাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ২ কংগ্রেসম্যান তাদের সফরকালে দেখবেন যে কীভাবে তাদের করদাতাদের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন কমে গেছে। তাদের জন্য মাসিক খাবার খরচ ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তারা যদি আরও তহবিলের সুপারিশ করেন, তাহলে ভালো হবে।'

তিনি বলেন, 'বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, সে কারণেই ধারাবাহিকভাবে মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করছেন। এটা ভালো।'

বাংলাদেশ সফরে যে ২ কংগ্রেসম্যান আসছেন, তাদের মধ্যে রিচার্ড ম্যাককরমিক রিপাবলিকান দলের এবং এড কেস ডেমোক্র্যাট দলের।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই ২ কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে চাপে ফেলেছে। ২০২১ সালে র‌্যাব এবং এর ৭ কর্মকর্তার ওপর স্যাংশন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ২০২১ ও ২০২৩ সালে গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি।

গত ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করে। সেই অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনে যারা ভোট কারচুপি বা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর মতো কার্যক্রমে জড়িত থাকবেন তাদের ভিসা দেবে না দেশটি।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের বৈদেশিক নীতিতে অগ্রাধিকার পায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। সেইসঙ্গে যেহেতু দুর্নীতি গণতন্ত্রকে চাপে ফেলে, তাই বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্যোগও নিয়েছে ওয়াশিংটন।

এরই অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ গত ৬ থেকে ৮ আগস্ট ঢাকা সফর করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছেন, স্যাংশন দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে এই অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ওয়াশিংটনও চায় ঢাকা তাদের পাশে থাকুক।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

2h ago