রোমাঞ্চ প্রিয় তানজিদে আশার ছবি

Tanzid Hasan Tamim
অনুশীলনে তানজিদ হাসান তামিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সরকারি কর্মকর্তা বাবা চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিমও এগুতে থাকুন চেনা পথ ধরে। পড়াশোনা শেষ করে বেছে নিন ঝুঁকিহীন জীবন। কিন্তু তানজিদের মাথায় ছিল ক্রিকেটের পোকা। পরিবারের সঙ্গে তাই লড়াই করে নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি। জাতীয় দল পর্যন্ত উঠে আসতে এই তরুণ চলার পথে সহায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকেও।

শনিবার তানজিদের জীবনের স্মরণীয় দিন। একজন ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় যে স্বপ্ন জাতীয় সেই ঠিকানায় পা পড়েছে তার। এশিয়া কাপের দলে পেয়েছেন ডাক।

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ দিয়ে আলোয় আসেন বাঁহাতি ওপেনার। সেবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলে সম্ভাবনাময়দের তালিকায় উপরের দিকে ছিল তানজিদের নাম। তার অন্য সতীর্থের মতো পরের সময়টায় তিনি দ্রুত আলো ছড়াতে না পারলেও হারিয়ে না গিয়ে দেরিতে হলেও ভিত খুঁজে পেলেন।

বয়সভিত্তিক দলে তানজিদ আসেন রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমির হাত ধরে। যে একাডেমি পরিচালনায় আছেন বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।

বাংলা ট্র্যাক একাডেমি থেকেই তানজিদকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বেছে নেন সুজন। বিসিবির গেম ডেভোলাপমেন্টের চেয়ারম্যান থাকায় সুজনের সুযোগ ছিল তাকে বেছে নেওয়ার। তবে দ্য ডেইলি স্টারকে প্রভাবশালী এই পরিচালক জানালেন, তানজিদকে বেছে নেওয়ায় সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল তাকে,  'কাল সকালে যখন তানজিদ আমাকে ফোন করে বলল সে ডাক পেয়েছে। আমার তখন মনে পড়ছিল তাকে আমি তুলে আনার সময় অনেক সমালোচনা সহ্য করেছিলাম।'

মূলত ক্রিজে গিয়ে মেরে খেলতে পছন্দ তানজিদের। সুজন চান খেলার এই ধরণের সঙ্গে যেন কোনভাবেই আপোষ না করেন ২২ পেরুনো বাঁহাতি,  'আমি জানতাম তার সম্ভাবনা আছে। সে কাট ও পুল শট খুব ভাল খেলে। ড্রাইভ ও ওভার দ্য টপেও সে ভালো। আমি আজ তাকে বলেছি, "যখনই সুযোগ পাও তুমি তোমার সহজাত খেলাটা খেলবে।" সে যদি তার সহজাত খেলা বদল করতে চায়, আগ্রাসী মনোভাব দমাতে চায় সেটা তার পরিস্থিতি কঠিন করবে।'

রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমি থেকে উঠে এসে আরেক তরুণ মাতাচ্ছেন জাতীয় দল। তানজিদের সঙ্গে একই ব্যাচে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। যুব বিশ্বকাপও খেলেছেন একসঙ্গে। হৃদয় এখন জাতীয় দলে থিতু। সুজনের মতে হৃদয়ের সঙ্গে সূক্ষ্ম এক তফাৎ আছে তানজিদের,  'হৃদয় অনেক শৃঙ্খলার মধ্যে থাকত তানদিজ অনেক রোমাঞ্চ প্রিয়।'

২০১৭-১৮ সালে উত্তরা স্পোর্টিংয়ের হয়ে ঢাকার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু তানজিদের। উত্তরার হয়ে পরের বছর ৩৭১ রান করে আরেকটু আলোয় আসেন।

যুব বিশ্বকাপের পর ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। এজন্য কাঁধের চোটকেও দায়ি করেন তিনি।

অবশেষে গত প্রিমিয়ার লিগ আবার কক্ষে ফেরায় তানজিদকে। সাবলীল শটে আবার কাড়েন নির্বাচকদের নজর। ইমার্জিং এশিয়া কাপে আগ্রাসী তিন ফিফটি তাকে করে দিল জাতীয় দলে আসার পথ।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago