প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেনি ভারত-পাকিস্তান

ভারত-পাকিস্তানের পতাকা। প্রতিকী ছবি: এএফপি
ভারত-পাকিস্তানের পতাকা। প্রতিকী ছবি: এএফপি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির সর্বশেষ নিদর্শন হিসেবে এই বছর পারমাণবিক শক্তিধর এই ২ দেশ একে অপরের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় করার প্রচলিত রীতি অনুসরণ করেনি।

আজ বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

১৯৪৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসক বিদায় নিলে দেশভাগের অংশ হিসেবে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান। সে সময় থেকে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ আগস্ট দেশ ২টি তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে। এবারই প্রথম শান্তি বজায় থাকা অবস্থায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধারায় এলো ছন্দপতন।

১৪ আগস্ট ছিল পাকিস্তানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের শেষ কর্মদিবস। বিদায়ী সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা পায়নি।

একই দিনে আনোয়ারুল হক কাকার পাকিস্তানের অষ্টম তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনিও মোদির পথ অনুসরণ করে পরের দিন ভারতকে তাদের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানাননি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশে নতুন সরকারপ্রধান ক্ষমতা গ্রহণের পর তাকে শুভেচ্ছা জানানোর প্রচলিত কূটনীতিক রীতিও ভঙ্গ করেছেন।

আজ কাকারের তৃতীয় কর্মদিবস হলেও এখনো তিনি বা তার সরকার নয়া দিল্লি থেকে কোনো বার্তা পাননি। 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব রীতিবিরুদ্ধ কূটনীতিক আচরণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ২ দেশের স্বাধীনতা দিবসে কোনো বার্তা বিনিময় হয়নি।

দীর্ঘ দিন ধরে ২ দেশের সম্পর্কে চলছে টানাপড়েন। তবে মূলত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার ৯ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চরম অবনতি হতে শুরু করে।

ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন মঙ্গলবার সকালে দেশটির স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও সেখানে দাওয়াত পাননি কোনো পাকিস্তানি অতিথি।

একই ভাবে, নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনেও একটি সীমিত আকারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানে ভারত সরকার কাশ্মীরী নেতাদের যোগ দিতে দেয়নি।

কূটনীতিক নিরীক্ষকদের মতে, আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ভারতের সাধারণ নির্বাচনে মোদির প্রচারণার বড় অংশ জুড়ে থাকবে পাকিস্তান ও মুসলমান বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি। যার ফলে, খুব সহজে ২ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

অন্তত ভারতের আগামী নির্বাচনের আগে ২ প্রতিবেশীর সম্পর্ক জোড়া লাগার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

1h ago