বরগুনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সংবাদ প্রকাশের জেরে বরগুনায় ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।

বামনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সারোয়ার গতকাল বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন।

অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন-বামনা উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকূলের প্রকাশক ও সম্পাদক নেছার উদ্দিন ও একই পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান আশিক। 

বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বামনা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাঁকন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার সংবাদ প্রকাশ ও ওই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. নেছার উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৫ আগস্টে কোনো হাতাহাতি হয়নি। অথচ ওই হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই দেখেছে।'

মামলার বাদী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সরোয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অসত্য সংবাদ প্রকাশ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে আমার ও দলের সুনাম বিনষ্ট করা হয়েছে।' 

হাতাহাতির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুনর রশীদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। সাংবাদিকরা বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচার করে কোনো অপরাধ করেনি। বরং যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।'

জানতে চাইলে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার কথা শুনেছি। তবে মামলার কপি হাতে পাইনি। তখন এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

11 years of N’ganj 7-murder: Hope fading as families still await justice

With the case still pending with Appellate Division, the victims' families continue to wait for the execution of the culprits' punishment

27m ago