বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উত্থাপন করা প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রস্তাবটি গ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশে এনজিও, মানবাধিকারকর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ ও যথাযথ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ, আজারবাইজান ও গুয়েতেমালার মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে ৩টি প্রস্তাব গ্রহণ করেন ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের কারাদণ্ডের নিন্দা জানিয়ে শিগগির এ রায় বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতিগুলো সমুন্নত রাখতে হবে।

এছাড়া, সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো যেন বিদেশি অনুদান পেতে পারে, তাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

পার্লামেন্টে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) বাণিজ্য সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন, অধিকারের বিরুদ্ধে মামলা এ সুবিধা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে, বিশেষ করে 'অধিকার'-এর বিষয়ে ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ শহরে আজ বৃহস্পতিবার 'মোশন ফর আ রেজোলিউশন' শিরোনামের ওই প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়।

প্রস্তাবে বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সরকারকে ২০২৪ সালের অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

6h ago