অধিকারের আদিলুর–নাসিরের মুক্তির দাবিতে ৪৮ নাগরিকের বিবৃতি

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) কারাদণ্ডের রায়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৪৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
জামিন পেয়েছেন অধিকারের আদিলুর-নাসির
আদিলুর রহমান খান। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার' এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) কারাদণ্ডের রায়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৪৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশ করে আসা অধিকার—এর শীর্ষ ২ মানবাধিকার কর্মীকে শাস্তির মুখোমুখি করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন।

'আমরা মনে করি, এ ঘটনা মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে এবং মানবাধিকার কর্মীদের নিরুৎসাহিত করবে। আমরা অবিলম্বে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করছি। একইসাথে মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সব হয়রানির অবসান চাই,' বলেন তারা।

বিবৃতিতে সই করেছেন— সমাজবিজ্ঞানী হোসেন জিল্লুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ন্যাশনাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, অধ্যাপক সি আর আবরার, সুপ্রিম কোর্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেট শাহ্দীন মালিক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট তাবারক হোসাইন, ফটোগ্রাফার ড. শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সারা হোসেন।

এতে আরও সই করেছেন- শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি, শারমিন মোর্শেদ, অধিকার কর্মী, নুর খান লিটন, মানবাধিকার কর্মী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট, জাকির হোসেন, মানবাধিকার কর্মী, সঞ্জিব দ্রং, মানবাধিকার কর্মী, রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও অধিকার কর্মী, লেখক রাহনুমা আহমেদ, শিরিন হক, মানবাধিকার কর্মী, নায়লা খান, শিশু বিশেষজ্ঞ, ড. স্বপন আদনান, ভিজিটিং প্রফেসর, লন্ডন স্কুল এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, রোজিনা বেগম, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ফেলো, মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ড, মো. মাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, তাসনিম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রুশাদ ফরিদি, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. বিনা ডি'কস্তা, অধ্যাপক, দ্য অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. নায়মা হক, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হানা শামস্ আহমেদ, এ্যানথ্রোপোলজি বিভাগ, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা, গবেষক সায়েমা খাতুন, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা, সাংবাদিক ও গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ, সঙ্গীত শিল্পী ও চিন্তক অরূপ রাহী, নাসের বখতিয়ার, সিনিয়র ব্যাংকার, সাবেক এমডি অগ্রণী ব্যাংক, মুক্তাশ্রী চাকমা, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক, নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী, ড. নাওমি হোসেন, সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন, সাদাফ নুর, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক এবং মিডিয়া অধিকার কর্মী সেলিম সামাদ।

Comments