বাংলাদেশের উজ্জ্বলতম বন্ধু গীতা মেহতা

সেই পরম বন্ধুর ৮০ বছরের ইহজাগতিক পরিভ্রমণ শেষ হল শনিবার, ভারতের রাজধানী দিল্লীতে। গীতা মেহতা খ্যাতিমান ছিলেন জনপ্রিয় ও দায়িত্বশীল একজন সাহিত্যিক হিসেবে।

গীতা মেহতা বাংলাদেশের বন্ধু ছিলেন। যেনতেন বন্ধু নয়। পরম বন্ধু বলতে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন তার প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকালের সাংবাদিক হিসেবে ১৯৭০-৭১ সালে অসংখ্য রিপোর্ট করেছেন। ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেল এনবিসির যুদ্ধ সাংবাদিক। এ কারণে লেখক গীতা মেহতার আমাদের কাছে বড়ো পরিচয় তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের বন্ধু। যিনি কেবল যুদ্ধদিনের সাংবাদিকতা করেই আপন দায়িত্ব শেষ করেননি। মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামমুখর দিনগুলো নিয়ে নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্যচিত্র 'ডেটলাইন বাংলাদেশ।' যা দেখলে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় তিনি বাংলাদেশের জন্য কতোটা হৃদয় সংবেদী ছিলেন।

প্রামাণ্যচিত্রের শুরু বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য দিয়ে, শেষটাও হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্রে রেখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাবলী ধরে। এর মধ্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের খণ্ড খণ্ড চিত্রকে এমনভাবে ধারণ করেছেন আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্ম তাদের কাছে সেসব দিন-বিবিধ ঘটনাবলী হাজির হয় নানাভাবে-বহুমাত্রিকতায়। কেবল মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর চিত্র তিনি দেখাননি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও তার ক্রীড়নকরা কীভাবে ক্রিয়াশীল ছিল তারও চিত্র হাজির করেছেন।

এক ঘণ্টার একটা প্রামাণ্য চিত্র অথচ সেখানে বিচ্ছিন্ন সব শটের সমাহার ঘটিয়ে সেগুলোকে এমনভাবে সমন্বয় করেছেন আমরা একত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর সামগ্রিক একটা চিত্র খুঁজে পায়। গীতা মেহতা এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে অনেক বেশি মুনশিয়ানা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ফুটেজ নির্বাচনেও হাজির রয়েছে উনার তীক্ষ্ণ মেধা ও দরদী মনের পরিচয়। প্রামাণ্যচিত্রেও কীভাবে ও কীরূপে একটা জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষার স্পৃহা ও উদ্যম জারি রাখতে হয়, তার উপস্থাপন রয়েছে। আমরা জানি, গীতার জন্ম উড়িষ্যায়, ভারতীয় নাগরিক তিনি।

পরবর্তীতে আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। অথচ 'ডেটলাইন বাংলাদেশ' দেখে আমাদের ভেতরে সেদিনের আমেরিকা, নিক্সন প্রশাসন, কিসিঞ্জারের কূটনীতির প্রতি এক ধরণের বিবমিষার জন্ম দেয়। ইয়াহিয়া, টিক্কা, রাও ফরমান আলী, নিয়াজী ৭১-এর দিনগুলোতে গণহত্যা সংঘটিত করে এ দেশের মাটিতে। যাতে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ইন্ধন দেয় আমেরিকা। এসব বিষয় ও একে ঘিরে সেদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ উপস্থাপিত হয়েছে 'ডেটলাইন বাংলাদেশ'-এ। ভারতের ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহস-সবকিছুই নির্মোহভাবে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।

'জয় বাংলা' শব্দবন্ধকে বাঙালি সেদিন কীভাবে ধারণ করেছিল তাও ঠাঁই পেয়েছে। এমনকি কোন কোন শটকে তিনি এমনভাবে মেলে ধরেছেন যার বাস্তব সত্য ও প্রতীকী  উপস্থাপন এক কথায় অপূর্ব-অনন্য। একটা জায়গায় দেখা যায়, আমাদের প্রাণের প্রিয় লাল সবুজের পতাকার ওপর শকুন বসে রয়েছে। এই প্রামাণ্যচিত্রে শকুন হাজির রয়েছে বারংবার। প্রতীকিভাবে ও তৃতীয়মাত্রা থেকে দর্শকচিত্তে যা প্রশ্ন ও ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে। যে ভাবনার আলপথ ধরে কথা বলে ওঠে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা 'জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন'। স্বাধীনতার পরে লেখা হয় এই কবিতা। তা হলে কি এই শকুনটাই গীতা মেহতার প্রামাণ্যচিত্রের সেই পুরনো শকুন? সবই প্রতীকী, কিন্তু প্রামাণ্যচিত্র আর কবিতায় কী দুর্দান্ত তার ব্যবহার! শকুনটা পতাকা স্ট্যান্ডের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের প্রাণের প্রিয় লাল-সবুজের পতাকা খামচে ধরার কোশেশ করছিল।

এভাবে কখনো স্পষ্ট করে, ইংগিতে, ইশারায়, প্রতীকে, রূপকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে কত চমৎকারভাবেই না উপস্থাপন করেছেন তিনি। যেখানে বেদনা ও হাহাকারের চিত্র যেমন আছে, তেমনি যুদ্ধ, উৎসাহ, উদ্দীপনা, উদ্যম, রাজনীতি, কূটনীতি, সমরনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যনীতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতা সবই মূর্ত হয়ে আছে। যে প্রামাণ্যচিত্র দেখার পর যে কারও কাছে বঙ্গবন্ধুর সেই বাণী অমেয় এক বার্তারূপে হাজির থাকবে। যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছেন সাতকোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা পৃথিবীর কোন শক্তির নেই। যা সত্যে প্রমাণিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের মধ্যেই। বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে সত্যসত্যই দমিয়ে রাখা যায়নি। বাঙালির সেই অহংকারে মুহূর্তগুলোকে অসম্ভব দক্ষতায়, গভীর মায়ায়, হৃদয় সংবেদী দরদে 'ডেটলাইন বাংলাদেশ'-এ মূর্ত করেছেন গীত মেহতা।

প্রশ্ন হল, একটা প্রামাণ্যচিত্রে গীতা মেহতা কীভাবে এতকিছু হাজির করলেন? উনার জন্ম উড়িষ্যায় বলে কি? যে উড়িষ্যা একদা আমাদেরই ছিল কিংবা আমরা উড়িষ্যারই ছিলাম, এক হয়ে-একত্রে। 'বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। আজকের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ, বর্তমানের ভারতের প্রদেশ আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা, এমনকি নাগপুর অবধি একসূত্রে গাঁথা ছিল বঙ্গ সংস্কৃতি। বৃহত্তর অর্থে অনেক দিকেই এরা একসূত্রে-একবন্ধনে আবদ্ধ ছিল। সংস্কৃতিতে ছিল সমন্বিত সংহত অবস্থানে। যা নিয়ন্ত্রণ করেছে সবকিছুকে। তার পর ঐতিহাসিক বাস্তবাতায় পৃথকীকরণ হয়েছে একে একে, নানা পর্যায়ে। এভাবে দেহ ও মনেও হয়তো আমরা আলাদা হয়ে গেছি। কিন্তু এ সত্যও ভুলে গেলে চলবে না, যতই পৃথক হয় না কেন, অতীত তার চিরন্তন ধর্ম পালন করে চলে। ভেতরে ভেতরে সে তার প্রবহমানতা-সমন্বয়বাদী ধর্মকে-সংহত স্বরূপকে ধারণ করে অতি যত্নে-পরম মমতায়। এবং সুযোগ পেলেই সে প্রকাশিত হয় আপনার হয়ে। যার ছাপ রয়েছে উড়িষ্যাবাসী, গীতা মেহতার 'ডেটলাইন বাংলাদেশ'-এ। এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের বন্ধু নয় কেবল পরম বন্ধু।

সেই পরম বন্ধুর ৮০ বছরের ইহজাগতিক পরিভ্রমণ শেষ হল শনিবার, ভারতের রাজধানী দিল্লীতে। গীতা মেহতা খ্যাতিমান ছিলেন জনপ্রিয় ও দায়িত্বশীল একজন সাহিত্যিক হিসেবে। হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতির প্রভাবশালী মুখ। দেশে-বিদেশে পরিচিত ছিলেন ইংরেজিভাষী একজন ভারতীয় লেখক-সাংবাদিক-পরিচালক ও প্রযোজকরূপে।

কিন্তু আমাদের কাছে উনার সাহিত্যিক পরিচয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই গুরুত্ববহ ছিল বাংলাদেশের বন্ধু পরিচয়। এরকম একজন মানুষের মৃত্যুতে, যার অবদানে আমরা ঋণী, সেইভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানালাম কি? কী ব্যক্তিক পরিসরে, কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পরিসরে কোথাও কী তিনি সেভাবে স্মরিত হলেন? রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কিংবা অন্য কোন মন্ত্রী কিংবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটা শোকবার্তা জানানো হয়েছে কি? ব্যক্তিক পরিসরেও তেমন কোন আলোচনা, শ্রদ্ধার্ঘ কিংবা স্মরণাভূতি প্রকাশ দৃশ্যমান হলো না। এ ধরণের লক্ষণ ও চর্চা দেশ ও জাতির বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং মহত্তম হয়ে ওঠার প্রয়াসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমরা কি প্রভাবশালী প্রতিভা থেকে এক ধরণের দূরত্ব তৈরির চর্চা করছি?

গীতা মেহতা লেখালেখি ও যাপিত জীবনে বুদ্ধিজীবীর ধর্ম পালন করে গেছেন। যা থেকে দীপিত হওয়া ও দীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের লেখকদের। শিরদাঁড়া সোজা রেখে কীভাবে বুদ্ধিজীবীতাকে ধারণ করতে হয়, ক্ষমতাকে কীভাবে প্রশ্ন করতে হয় তার উদাহরণ রেখে গেছেন। উনাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্মশ্রী' পদকে ভূষিত করা হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু উনি সেই সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি স্পষ্ট করে বলেন এই সময়ে সম্মাননা নিলে সকলের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। উল্লেখ্য ওই বছর ছিল লোকসভা নির্বাচন। সেসময় নিউইয়র্ক থেকে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, 'ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রী পাওয়ার যোগ্য ভেবেছেন, তাতে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এই সম্মান আমার ফিরিয়ে দেয়া উচিত। দেশে লোকসভা ভোট ঘনিয়ে এসেছে। এই খেতাব দেওয়ার সময়টা তাই ভুল বাছা হয়েছে। এর ফলে সরকার এবং আমার দুপক্ষেরই বিড়ম্বনা তৈরি হতে পারে।'

গীতা মেহতা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা বিজু পট্টনায়ক ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী। উনার ছোট ভাই নবীন পট্টনায়ক উড়িষ্যার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজু জনতা দলের প্রধান। নবীনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কও বেশ উষ্ণতার। সেই হিসেবে গীতা যে 'পদ্মশ্রী' সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করবে তা কল্পনাও করতে পারেনি মোদী সরকার। আমরা মনে করি এটা কল্পনার সীমাবদ্ধতা নয়। একজন বুদ্ধিজীবীকে 'রিড' করতে না পারার ব্যর্থতা। একজন প্রকৃত বুদ্ধিজীবী যে দেশ, জাতি ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থ ছাড়া অন্য সকল স্বার্থকে থোড়াই কেয়ার করে তিনি সেটাই প্রমাণ করেছেন।

শুধু এই ঘটনায় নয়, যারা গীতা মেহতার সাহিত্যকর্মের খোঁজ রাখেন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন তার লেখালেখির শক্তি, বিষয় নির্বাচনের সাহস, বৃহত্তর সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতার স্বরূপ। 'কারমা কোলা' উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনি আত্ম প্রকাশ করেন। এখানে বিষয়ের যে পরিভ্রমণ তা যেমন মহাকাব্যিক তেমনই চিন্তাজাগানিয়া। তিনি এর ভেতর দিয়ে আজকের ভারতের হিন্দু ও বৌদ্ধ পুরাণের যে 'কর্ম' ভাবনা তাকে নতুনরূপে আশ্রয় করেছেন। 'মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট', 'স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স', 'আ রিভার সুত্রা', 'রাজ' ও 'দ্য ইন্টারন্যাশনাল গনেশা' প্রতিটি গ্রন্থের নামকরণের দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় গীতার দৃষ্টি কত গভীরে। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তিনি গভীরতর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে দেখেছেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বৌদ্ধিকমহলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। 

গীতার পঠন পাঠন ও লেখালেখির ধরণটা অন্যদের থেক আলাদা ও ব্যতিক্রম। তিনি ইতিহাসের সঙ্গে, পুরাণের সঙ্গে, আদি শাস্ত্র ও সংস্কৃতির সঙ্গে যেমন থাকেন তেমনি বর্তমানকেও হাজির করেন সেসবের সঙ্গে। আবার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নিয়েও উনার বোঝাপড়া রয়েছে, প্রশ্ন রয়েছে। উড়িষ্যায় জন্ম নেয়া গীতার একটা সময় কেটেছে দিল্লীতে। পড়াশোনা দিল্লী ও ক্যামব্রিজে। তারপর থিতু হন আমেরিকায়। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটাননি কখনোই। শেকড়ের ডানা হওয়ার ধর্ম পালন করেছেন তিনি। ডানা তত বড় হয়, শেকড় যত গভীরে যায়। গীতার লেখালেখি যেন এই সত্যকেই উচ্চকিত করেছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ডানা ছড়িয়েছেন ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত শেকড় বাহিত নির্যাস থেকে। ঔপনিবেশিকের দৃষ্টিতে নয়, পাশ্চাত্যবাদীর চশমায় নয়, কর্তৃত্ববাদী শাসকের স্বার্থ হাসিলের আয়নায় নয় প্রকৃত ভারতকে খুঁজতে হবে ঐতিহাসিক-গবেষক-সাহিত্যিকের নির্মোহ লেখায়। যেখানে প্রকৃতার্থে ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতির 'প্রাণ' কথা বলে ওঠে। গীতা মেহতা ছিলেন সেই 'প্রাণ'কে যারা সাহিত্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকতায় উজ্জ্বল ও উচ্চকিত করেছেন উনাদের অন্যতম প্রতিভূ।

Comments

The Daily Star  | English

Cybergangs now selling ‘genuine’ NIDs

Imagine someone ordering and taking delivery of your personal data -- national identity card information, phone call records, and statements from your mobile financial accounts – as conveniently as ordering food online.

3h ago