আমেরিকা তো স্পেশাল কিছু করে দেয় নাই, বাণিজ্যতে কোনো সমস্যা হবে না: সালমান এফ রহমান

সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, 'খুব ভালো করেছে। আমি মনে করি, এটা খুব ভালো। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সরকার পক্ষ থেকে আমরা সবসময় বলেছি, গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে তার বক্তব্যেও এটা বলেছেন। তারা নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও তা চাই। আমরা তো বাধা দিতে চাই না। যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন হবে।

'তারা শুধু বাধা না, সহিংসতার কথাও বলেছে। আপনারা জানেন, প্রধান বিরোধী দল, তারা প্রকাশ্যে বলছে যে "আমরা নির্বাচন হইতে দিব না।" গতকালও বলেছে যে, "শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন হইতে দিব না।" কেমনে হইতে দিবেন না? একটাই পথ, ভায়োলেন্স করে বাধা দিবেন। আমি মনে করি, যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিবে। এটা খুবই ভালো। ডোনাল্ড লু যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেখানে বলেছেন, বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য— যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধেই নেবে।'

ভিসা স্যাংশনের কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটার সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো সম্পর্ক নাই। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। আমি প্রতিযোগিতা করে সেই বাজার দখল করেছি। ইউরোপের মতো আমেরিকা তাদের বাজারে আমাকে বিশেষ কোনো এক্সেস দেয় নাই। আমি সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি দিয়ে সেই মার্কেট পাই। যে কেউ সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি দিয়ে আমেরিকান বাজারে ঢুকতে পারে। আমার জন্য যে এটা সবচেয়ে বড় বাজার সেটা আমাদের ব্যবসায়ী, গার্মেন্ট কোম্পানি, শ্রমিক যারা আছেন তাদের ক্রেডিট। আমরা সারা পৃথিবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি দিয়ে আমি সেই বাজারটা দখল করতে পেরেছি। আমেরিকা তো আমার জন্য স্পেশাল কিছু করে দেয় নাই। বাণিজ্যতে কোনো সমস্যা হবে না। ইইউ আমাকে স্পেশাল জিএসপি আমাকে ডিউটি ফ্রি অ্যাক্সেস দিয়েছে দিয়েছে। ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত দিয়েছে। আমেরিকা তো দেয় নাই। আমি প্রতিযোগিতা করে সেখানে ঢুকছি।'

জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না এটা তাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করব। আমাদের নির্বাচন কমিশন শতভাগ স্বাধীন। আগে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ছিল। শেখ হাসিনাই এটাকে সরিয়ে স্বাধীন করেছে। স্বচ্ছ ব্যালেট বক্স দিয়েছে। ওরা বলেছে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চাই, আমরাও বলছি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চাই। পর্যবেক্ষক এলো বা না এলো এটা তাদের ব্যাপার। আমাদের নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।' 

 

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago