নেতাকর্মীদের নিয়ে ৭ মাস হোটেলে খেয়ে বিল দেননি ছাত্রলীগ নেতা, থানায় অভিযোগ

কক্সবাজারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে ৭ মাস ধরে একটি হোটেলে নেতাকর্মীদের নিয়ে খাবার খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ওই খাবার হোটেলের মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

খাবার হোটেলটি ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট আবাসিক হোটেলের নীচতলায় অবস্থিত বলে জানান তিনি।

অভিযোগে বলা হয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান সহযোগীদের নিয়ে গত ৭ মাস ধরে প্রতিরাতে শাহাবুদ্দিনের ভাতের হোটেলে খেয়ে আসছেন। খাবারের বিল চাইলে মারুফ আদনান ধমক দিয়ে খাতায় লিখে রাখতে বলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে তিনি সহযোগীদের নিয়ে সেখানে রাতের খাবার খাওয়ার পর হোটেলের পক্ষ থেকে আগের বকেয়াসহ সব টাকা চাওয়া হলে মারুফ ও তার লোকজন হোটেল মালিক শাহাবুদ্দিনকে মারধর করেন। এ সময় ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিনের বাবা ওয়াদ আলীকেও মারধর করা হয় এবং হোটেলের ক্যাশে থাকা ৩০ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

পরে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ও লোকজন হোটেলটি তছনছ করে চলে যায়। 

এ ঘটনায় মারুফ আদনান ছাড়াও স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী আসাদুজ্জামান সায়েম, আফনান আদনান, ওয়াশিক আহমদ, মুন্না, শফিউল আলম লাকী ও সাইমনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন হোটেল মালিক শাহাবুদ্দিন।

ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিনের অত্যাচারে আমার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে মারুফ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। তার কাছে আমার ৩ লাখ টাকার বেশি পাওনা আছে।'

থানায় অভিযোগ করার পর তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
 
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ করেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমার ও আমার সংগঠনের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এটি।' 

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

Comments

The Daily Star  | English

Retired officials’ promotions plunged civil service into crisis

One year into the interim government’s tenure, the public administration ministry remains in disarray

9h ago