হামাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হলো: নেতানিয়াহু

গতকাল শনিবার দক্ষিণ ইসরায়েলের আশকেলনের একটি হাসপাতালের কাছে হামলার পর আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: রয়টার্স

একের পর এক হামলা, বিস্ফোরণের মধ্যে রাত পার করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। হামাসের আক্রমণের পর রাত থেকেই বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপকূলীয় ছিটমহলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেছেন, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের বন্দুকধারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। ইসরায়েলের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি জানায়, গাজায় অনেক পরিবার ঘর ছেড়ে পালানো শুরু করেছে। তারা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ গাজার ৭টি এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেক ইসরায়েলিকে বন্দী করে রাখার কথা জানিয়েছে হামাস। হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরি আল জাজিরাকে বলেন, এসব বন্দীর বিনিময়ে হামাস ইসরায়েলে কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করতে পারবে।

হামাস অনেক ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছে ও হত্যা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন যুদ্ধের সূত্রপাত হলো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, 'হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আক্রমণ শুরু হয়েছে এবং লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কোনো দ্বিধা ও অবকাশ ছাড়াই আক্রমণ চলবে।'

'আমরা ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেব এবং আমরা জিতব,' বলেন তিনি।

গতকাল ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল 'সর্বাত্মক যুদ্ধের' পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সদস্যরা যেখানেই থাকুন না কেন, ইসরায়েলের সেনারা সেখানে পৌঁছে যাবে। সেখানে গিয়ে হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে প্রতিহত করা হবে।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং 'হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস' করার ব্যবস্থার অনুমতি দিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago