গাজায় স্থল হামলার পরিকল্পনা পরিবর্তনের ইঙ্গিত ইসরায়েলি বাহিনীর

গাজা সীমান্তের দিকে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান। ছবি: এএফপি

গাজায় স্থল হামলার জন্য ইসরায়েলের ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, অনেকেই ধারণা করছেন গাজায় সেনা অভিযান আসন্ন। তবে এরকমটা নাও হতে পারে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল রিচার্ড হেচেট বলেছেন, আমরা যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের জন্য তৈরি হচ্ছি। তবে আমরা বলিনি যে সেটা কী হবে। সবাই স্থল হামলা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু ভিন্ন কিছুও হতে পারে।

হাজারো রকেট ছুড়ে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের হামলার পর গত ৭ অক্টোবর গাজায় অবরোধের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। সেই সঙ্গে সব ধরনের মানবিক সহায়তা ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ। গত ১০ দিন ধরে গাজায় লাগাতার বোমা বর্ষণ চলছে। এতে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ।

এ ছাড়া, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৫০ জনেরও বেশি।

গাজায় স্থল হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, স্থল হামলা হলে এই যুদ্ধের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এর মধ্যেই লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। গাজায় স্থল হামলা হলে তারা ইসরায়েলে হামলা চালাবে বলেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

গাজায় চলমান সংঘাতের বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, 'ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল শাসকদের অপরাধ চলতে থাকলে কেউ মুসলিম ও প্রতিরোধ শক্তির মোকাবিলা করতে পারবে না। গাজায় অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।'

খামেনি আরও বলেন, 'ইসরায়েল সরকার যাই করুক না কেন, তারা যে লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে তা কোনোভাবেই পুষিয়ে নিতে পারবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Tariffs, weak confidence heighten risks for Islamic banks

The global ratings agency said weak solvency of the banks, compounded by poor governance, is eroding depositor confidence, and this, in turn, will limit their growth.

9h ago