ইসরায়েলকে প্রমাণ দিতে হবে যে তারা গাজার হাসপাতালে হামলা চালায়নি: রাশিয়া

গাজায় হাসপাতালে হামলাকে ‘জঘন্য সামরিক অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার দিমিত্রি মেদভেদেভ। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন তিনি।
গাজার আল-আহলি হাসপাতালে হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: অক্টোবর ১৭, রয়টার্স

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলকে প্রমাণ দিতে হবে যে তারা গাজার হাসপাতালে হামলা চালায়নি।

আজ বুধবার গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে একটি বিবৃতিতে দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রয়টার্স জানায়, বিবৃতিতে গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।

'গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে, এটি একটি মর্মান্তিক অপরাধ। ইসরায়েলের উচিত স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহ করা যাতে প্রমাণ করা যায় যে তারা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না,' বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রেডিও স্পুটনিককে জানান, হাসপাতালে হামলা একটি মর্মান্তিক 'অমানবিক' অপরাধ।

অন্যদিকে গাজায় হাসপাতালে হামলাকে 'জঘন্য সামরিক অপরাধ' বলে বর্ণনা করেছেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার দিমিত্রি মেদভেদেভ। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন তিনি।

মেদভেদেভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন, 'গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে জঘন্য হামলা নিঃসন্দেহে একটি যুদ্ধাপরাধ। এর জন্য চূড়ান্ত দায়ভার তাদের কাঁধে বর্তায় যারা বিভিন্ন মহাদেশের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের জন্য নিষ্ঠুরভাবে লাভবান হচ্ছে, যেমন— যুক্তরাষ্ট্র।'

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাতে আল জাজিরা জানায়, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে।

হাসপাতালটি রোগীতে পরিপূর্ণ ছিল এবং ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে সেখানে অসংখ্য ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Going abroad to study or work: Verifying documents to get easier

A Cabinet meeting today approved the proposal for Bangladesh to adopt the Apostille Convention, 1961 which facilitates the use of public documents abroad

10m ago