মধ্যপ্রাচ্যে ‘বিভক্ত’ ম্যাকডোনাল্ডস

ম্যাকডোনাল্ডস
মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশেগুলোর ম্যাকডোনাল্ডস সমর্থন জানিয়েছে গাজাবাসীর প্রতি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বখ্যাত মার্কিন ফাস্টফুড প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডসের ইসরায়েল শাখা দেশটির সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সমালোচনায় পড়ে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোয় এই প্রতিষ্ঠানটির শাখা সমর্থন জানায় গাজাবাসীর প্রতি।

সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়ে বলে—গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যখন হামাসের যুদ্ধ চলছে তখন মার্কিন ফাস্টফুড প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডসও যেন নিজেদের মধ্যে 'যুদ্ধে' জড়িয়ে পড়ছে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিৎজারবিজয়ী ভাষ্যকার টমাস ফ্রিডম্যান ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে বলেছিলেন, 'ম্যাকডোনাল্ডসের শাখা আছে এমন দুই দেশের মধ্যে কখনোই যুদ্ধ হবে না।'

ইসরায়েলের ম্যাকডোনাল্ডস দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশের শাখাগুলো এর বিরোধিতা করে তাদের সমর্থন জানিয়েছে গাজাবাসীর প্রতি।

সৌদি আরব, ওমান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, মিশর, বাহরাইন ও তুরস্কে ম্যাকডোনাল্ডসের শাখাগুলো এর ইসরায়েল শাখার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে। তারা সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের বিশেষ করে ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমা হামলার শিকার গাজাবাসীদের ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

গত রোববার ম্যাকডোনাল্ডস ওমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছে, 'আসুন আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে গাজাবাসীদের সমর্থন জানাই। তাদের জন্য আমাদের যা যা করা সম্ভব, আসুন তাই করি।'

এক্স বার্তায় আরও বলা হয়েছে, 'আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের প্রিয় দেশ, সব আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে রক্ষা করেন।'

ম্যাকডোনাল্ডসের ওমান শাখা ফিলিস্তিনিদের এক লাখ ডলার মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ক্রেতাদের কাছ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসে। যার ফলে বাধ্য হয়ে ইসরায়েল ম্যাকডোনাল্ডস তাদের ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাকাউন্ট 'প্রাইভেট' করে রেখেছে।

ম্যাকডোনাল্ডস মার্কিন প্রতিষ্ঠান হলেও অন্যান্য দেশে এর আউটলেটগুলো স্থানীয়ভাবে পরিচালিত হয়। আল জাজিরা শিকাগোয় ম্যাকডোনাল্ডস সদরদপ্তরে যোগাযোগ করলে মধ্যপ্রাচ্যে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো মন্তব্য করেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Rising tea prices bring new life to northern growers

Better rates, higher yields, and improved quality are revitalising tea cultivation

11h ago