যে ‘ট্যুরে’ বিলিয়নিয়ার টেইলর সুইফট
শুধু সংগীত ও পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই আনুষ্ঠানিকভাবে এখন 'বিলিয়নিয়ার' জনপ্রিয় পপতারকা টেইলর সুইফট।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স এর তথ্য অনুযায়ী, রেকর্ড-ব্রেকিং ইরাস ট্যুরের কল্যাণে টেইলর সুইফটের মোট সম্পদ এখন ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলার। এই মার্কিন পপ শিল্পীর কনসার্ট ফিল্ম 'টেইলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর' যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে ৪.২ বিলিয়ন বা ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত করেছে।
টেইলর সুইফট শুধু তার সংগীত এবং পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এত অর্থ উপার্জন করেছেন। বিনোদন জগতে এমন অর্জন খুব কম মানুষের ঝুলিতেই রয়েছে।
ব্লুমবার্গের তথ্য থেকে জানা যায়, 'ব্ল্যাংক স্পেস' খ্যাত সংগীতশিল্পী ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংগীত থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন, কনসার্টের টিকেট ও মার্চেন্ডাইজ থেকে আয় করেছেন ৩৭০ মিলিয়ন ডলার, ইউটিউব ও স্পটিফাই থেকে ১২০ মিলিয়ন, গানের রয়্যালটি হিসেবে ৮০ মিলিয়ন ডলার ও মোট ১১০ মিলিয়ন ডলারের ব্যক্তিগত সম্পদ—সবমিলিয়ে বিলিয়নিয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন সুইফট।
কনসার্টের টিকেটের পাশাপাশি সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা তার ভিনাইল রেকর্ড, ব্রেসলেট ইত্যাদি কিনতে মুখিয়ে থাকেন।
বর্তমানে ট্যুর ও নতুন অ্যালবাম নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টেইলর সুইফট। নভেম্বর মাসেই 'ইরাস ট্যুর' নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে কনসার্টে অংশ নিবেন তিনি। ২০২৪ সালে এই ট্যুর নিয়ে সুইফট ভ্রমণ করবেন ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে। এতে তার খ্যাতি ও সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়বে।
টেইলর সুইফট ছাড়াও বিলিয়নিয়ার ক্লাবে আছেন আরও ২ সংগীতশিল্পী— রিহানা ও জে-জি। রিহানার আয়ের একটি বড় অংশ আসে তার মেক আপ ব্র্যান্ড 'ফেনটি বিউটি' ও পোশাকের ব্র্যান্ড 'স্যাভেজ x ফেনটি' থেকে।
অন্যদিকে বিয়ন্সের স্বামী জে-জি সংগীতের বাইরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা থেকে বড় অংকের টাকা আয় করেন।
গতকাল শুক্রবার '১৯৮৯-টেইলর'স ভার্সন' এর মুক্তি উপলক্ষে ভক্তদের উদ্দেশে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন একটি চিঠি শেয়ার করেন টেইলর সুইফট। পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন- 'আমার নাম টেইলর। আমার জন্ম ১৯৮৯ সালে।' এই অ্যালবামে ৫ টি নতুন গানের পাশাপাশি আছে টেইলরের জনপ্রিয় গান "ব্ল্যাংক স্পেস", "শেইক ইট অফ", "ব্যাড ব্লাড", "ওয়াইল্ডেস্ট ড্রিমস", "স্টাইল" সহ মোট ২১ টি গান।
গ্রন্থনা: জোহানা আফরিন
Comments