দিল্লি থেকে

উপভোগ করছেন না, এমন জানলে বিশ্বকাপেও আসতেন না সুজন

উপভোগ করছেন না, এমন জানলে বিশ্বকাপেও আসতেন না সুজন

টিম ডিরেক্টর হিসেবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকলেও খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে দলের সঙ্গে থাকা তিনি উপভোগ করছেন না। এমনকি এমনটা হবে জানলে ভারতে আসতেও চাইতেন না তিনি।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স চরম বাজে। সাত ম্যাচের মধ্যে কেবল একটি জেতায় এরই মধ্যে বাদ পড়েছে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে। সেরা আট দলের ভেতর থাকা নিয়েই এখন শঙ্কা। সেটা না থাকতে পারলে বাংলাদেশ খেলতে পারবে না ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

এমন নাজুক অবস্থায় দিল্লিতে গণমাধ্যমে হাজির প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালক সুজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিম হোটেলের বাইরে তিনি জানান, বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকলেও তার ভূমিকা করে রাখা হয়েছে সীমাবদ্ধ, 'বিসিবি থেকে আমাকে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই করার চেষ্টা করছি। প্রতিটা ট্যুরেই একটা বাড়তি (ব্যাপার) থাকত যে আমি দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, যেটা এবার নেই।'

'আমার তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে আমি কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। এখন ক্রিকেটিং রুল আমার না।'

সব সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূমিকায় থাকলেও এবার তেমনটা না হওয়া একদমই মানতে পারছেন না সুজন। এমন ভূমিকা উপভোগ করছেন না, সেটাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সুজন, 'খুশি তো (না)… আমি তো এভাবে থাকতেই চাই না। যেহেতু আমার রক্তেই ক্রিকেট। কোচিং করি, এটা আমার পেশা। টেকনিক্যাল মানুষ হিসেবে গত যে ট্যুরগুলোতে যে ভূমিকা ছিল, এসব থেকে আমি দূরেই আছি।  আমি উপভোগ করছি কিনা-না, অবশ্যই না। একটা ট্যুরে আমি অভিভাবক হিসেবে থাকব, নিয়ম-শৃঙ্খলা বা অন্য বিষয় দেখব, সেটা তো আমার কাজ না। সেটাও আমি দেখতাম, তবে আমি ক্রিকেট দেখতাম।'

'এভাবে থাকতে চাইনি। যেটা হয়েছে গেছে, চিন্তা করে লাভ নেই। সামনের দুইটা ম্যাচ আছে, সেদিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।'

সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ভূমিকায় থাকবেন না এমনটা জানলে বিশ্বকাপে আসতেই রাজী হতেন না তিনি, 'না, আসতাম না, প্রথম কথা হচ্ছে এটা। আমি বিশ্বকাপে আসার আগে বলেছিলাম, সেমিফাইনাল খেলব। এখন মনে হয়, কোন চিন্তা করে যে বলেছিলাম!'

সাবেক অধিনায়ক জানান, বিশ্বকাপে দলের সব ক্রিকেট কেন একসঙ্গে ছন্দহীন এটা বুঝতে পারছেন না তিনি, 'আমি মনে করি, ব্যর্থতা আমাদের সবারই। যেহেতু খেলোয়াড়রা মাঠে খেলে, তাদের ব্যর্থতা সবার আগে। কিন্তু প্রয়োগ কেন হয়নি এটাও একটা বিষয়। সবাই একসঙ্গে অফ ফর্মে যাওয়াটা… (বিস্ময়কর)।'

Comments

The Daily Star  | English

Anatomy of BGB shootings in Rampura

It was 6:14pm on Friday, July 19, 2024. Two Border Guard Bangladesh (BGB) personnel were advancing into Banasree G Block in Dhaka.

21h ago