‘জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও’ ট্রেন্ড যেভাবে এলো

ছবি: সংগৃহীত

'সো বিউটিফুল, সো এলিগেন্ট, জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও' কথাগুলোর সাথে ঠোঁট মিলিয়ে করা মজার মজার সব ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনসহ অনেক তারকারাই এই ট্রেন্ডে অংশ নিয়েছেন।

কিন্তু কোথা থেকে এলো এই ট্রেন্ড? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

জেসমিন কৌর নামে এক নারী ইনস্টাগ্রাম লাইভে থ্রিপিসের বিজ্ঞাপন করছিলেন। পোশাকের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বারবার এই তিনটি বাক্য বলেই যাচ্ছিলেন। এখান থেকেই মূলত ট্রেন্ডের শুরু। তার এমন মজার ব্যাখার কারণেই মিম আকারে ভাইরাল হয় ভিডিও ক্লিপটি।

এরপর থেকেই শুরু হয় কথাগুলোর সাথে ঠোঁট মিলিয়ে টিকটক ভিডিও ও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে রিল বানানোর হিড়িক। ভিডিওটিতে জেসমিনের কথা বলার ধরণটি ছিল খুবই মজার। তার কথা আর অতিরঞ্জিত অভিব্যক্তিগুলোর মাঝে দর্শকেরা প্রচুর হাস্যরস খুঁজে পেয়েছে। এসবের বাইরেও ফ্যাশনের দুনিয়ার ঝাঁ চকচকে নানান বিজ্ঞাপনের মাঝে তার এই পোশাকের বিজ্ঞাপনের ধরণ যেন একেবারেই আলাদা। এজন্যই হয়তো এটি আলাদাভাবে সবার দৃষ্টি কাড়তে সফল হয়েছে।

মূহুর্তেই এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মানুষ তাদের নিজেদের সাজগোজের বর্ণনায় কিংবা প্রাত্যহিক জীবনের যেকোনো কাজের সাথে এই কথাগুলো জুড়ে দিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন। এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনের মতো তারকারাও এই কথায় ঠোঁট মিলিয়ে রিল পোস্ট করেছেন।

এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন দীপিকার স্বামী বলিউড তারকা রণবীর সিংও। একটি শপিং মলের উদ্বোধনে গিয়ে তাকে এই জনপ্রিয় লাইনটি নীতা আম্বানির উদ্দেশে বলতে শোনা যায়। তার বলার ভঙ্গি ও কাণ্ড দেখে হেসেই কুল পাননি নীতা আম্বানি। শুধু তাই নয়, রণবীরকে তিনি "ফ্লাইং কিস" পর্যন্ত ছুঁড়ে দেন।

এখানেই থামেনি এই ট্রেন্ডের ঝড়। এই নিয়ে বাঁধা হয়েছে গানও। সঙ্গীত প্রযোজক যশরাজ মুখতে তার অভিনব আর হাস্যরসাত্মক বিভিন্ন রিমিক্সের জন্য ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনিও 'জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও' ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে একটি রিমিক্স গান বানিয়েছেন। বলিউড অভিনেত্রী সানিয়া মালহোত্রা আবার ইন্সটাগ্রামে রিল পোস্ট করেছেন এই গানের সঙ্গেই।

শুধু শোবিজ দুনিয়াই নয়, ক্রিকেটারদেরকেও দেখা গিয়েছে এই ট্রেন্ড অনুসরণ করতে। সম্প্রতি ক্রিকেটার কে এল রাহুলকে তার স্ত্রীর ইনস্টাগ্রামের একটি ছবিতেও 'জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও' মন্তব্য করতে দেখা যায়।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

গ্রন্থনা: নাফিসা ইসলাম মেঘা

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago