দিল্লি থেকে

ম্যাচের দিন পর্যন্ত ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকতে পারে দিল্লির বায়ু দূষণ 

delhi pollution
ছবি: পিটিআই

২০১৯ সালে ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচ কাভার করতে এসে দিল্লি মেনেই পড়তে হয়েছিল অস্বস্তিতে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই বাইরের বাতাস পেতে মনে হলো নিঃশ্বাসটা এখানে বেশ ভারি। পুরো শহর ঢেকে আছে কুয়াশায়, পরে জানা গেল কুয়াশা নয় আসলে এসব ধোঁয়াশা। এবারও ঠিক নভেম্বর মাসে এসে মিলল একই অবস্থা।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) জানাচ্ছে, দিল্লির বায়ু এখন বিপজ্জনক পর্যায়ের। শনিবার দুপুর ১২টায় একিআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪০৭। যারা গুরুতর পর্যায়ের।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে, এই মাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুদিন। অর্থাৎ সোমবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিনও থাকছে প্রবল বায়ু দূষণের শঙ্কা। এমনিতে দিল্লির জনজীবন চলছে স্বাভাবিক। প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে শুক্রবার থেকে। রোববার এমনিতেই ছুটির দিন। সোমবার পর্যন্তও আবহাওয়ার অবস্থা দেখে কাজে বেরুবেন মানুষ।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেল ২টায় শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এই ম্যাচ নিয়ে কি কোন শঙ্কা থাকছে? আইসিসির মিডিয়া বিভাগের এক কর্মকর্তা জানালেন, আপাতত তেমন কিছু নেই। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চলমান থাকবে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার অনুশীলনের কথা থাকলেও বায়ু দূষণের কথা ভেবে আর হোটেল থেকে বের হয়নি বাংলাদেশ দল।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টির আগেও দিল্লিতে বায়ু দূষণ জাগিয়েছিল শঙ্কা। মাস্ক পরে ওয়ার্মআপ করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারকে। তবে পরে সময়মতই হয় ম্যাচ।

শনিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিল্লির আকাশ ছিল ধোঁয়াশায় ভরপুর। পরিস্থিতি বিবেচনায় দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রায়কেও নিয়মিত ব্রিফ করতে হচ্ছে। তার দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন কি ধরণের গাড়ি বাইরে বের করা যাবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতির সঙ্গে গত বেশ ক'বছর ধরে পরিচিত দিল্লির মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধার্থ বান গুপ্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বছরের এই সময়টায় দিল্লির বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। কদিন পর পরিস্থিতি আরও বাজে হবে। সেসময় আমি নিশ্চিতভাবে দিল্লি থাকব না।'

কেন হয় এমন অবস্থা?

জানা যায় দিল্লির আশেপাশের কিছু রাজ্য ও দিল্লি রাজ্যের কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় ফসলের নাড়া পুড়ানো হয় এই সময়ে। একর একর জমিতে পুড়তে থাকার নাড়ার ধোঁয়ার কুণ্ডলি এসে জমা হয়ে যায় ভারতের রাজধানী শহরে। কয়েকদিন পর দীপাবলি শুরু হলে পটকা, আতশবাজিও তৈরি করবে বায়ুর নাজুক পরিস্থিতি।

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

2h ago