বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছে ২ থেকে ৩ শিশু: আইসিডিডিআর,বি

বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছে ২ থেকে ৩ শিশু: আইসিডিডিআর,বি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় প্রতি ঘণ্টায় আনুমানিক দুই থেকে তিনটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার শিশু।

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ২৪ শতাংশই হয় নিউমোনিয়ায়।

আজ বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআর,বি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়।

আগামী ৩০ অক্টোবর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসকে কেন্দ্র করে 'শিশুদের নিউমোনিয়া: আমরা কি যথেষ্ট করছি?' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতী, ড. নুর হক আলম, ড. কে জামান ও ড. আহমেদ এহসানুর রহমানের কয়েকটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে গবেষণাগুলো সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে এর ব্যবহারও করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রতি হাজারে প্রায় সাত দশমিক চার শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। প্রতি বছর আনুমানিক ছয় লাখ ৭৭ হাজার শিশু নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন রোগী আনুমানিক ৪০ লাখ।

বাংলাদেশে শিশুদের নিউমোনিয়ার কারণগুলো বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে আলাদা উল্লেখ করে ড. চিশতী বলেন, '২০১৯ ও ২০২১ সালে আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী, গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিষয়টি উঠে আসে। এই ফলাফলগুলো দেখায় যে, বিরল গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া শৈশবকালীন নিউমোনিয়ার নতুন কারণ।'

ঘরের ভেতরে বাতাসের গুণগত মান উন্নয়ন করার মাধ্যমে নিউমোনিয়া মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক করা সম্ভব বলে মনে করেন ড. চিশতী।

তার গবেষণায় উঠে আসা তথ্য তুলে ধরে ড. চিশতী বলেন, হাত ধোয়ার অভ্যাস এই রোগ ২১ শতাংশ কমাতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago