আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কিউইদের সামনে লুটিয়ে পড়া লঙ্কানদের ১৭১ রানের পুঁজি

ব্যাটিং স্বর্গে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেনি লঙ্কানরা

কিউইদের সামনে লুটিয়ে পড়া লঙ্কানদের ১৭১ রানের পুঁজি

নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা

পাওয়ারপ্লেতেই ৭৪ রান। কিন্তু উইকেটের ঘরে ততক্ষণে বসে গেছে ৫। বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে এক কুশল পেরেরা ফিফটি হাঁকান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নয় নাম্বার ব্যাটারের থেকে। কিউই বোলিং আক্রমণের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি লঙ্কানরা। শেষের দিকে বোলারদের দৃঢ়তায় তবু ১৭১ রানে পৌঁছাতে পারে তারা।

বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে টসে জিতে বোলিং নেওয়া নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের সুযোগ তৈরি করে ফেলে। কিন্তু উইকেটরক্ষক টম ল্যাথাম সহজ ক্যাচ মিস দিয়ে ফেলেন। অবশ্য উইকেটের অপেক্ষাটা কিউইদের বলতে গেলে করতেই হয়নি। সুযোগ হাতছাড়ার পরের বলেই পাথুম নিসাঙ্কাকে ল্যাথামের হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট করে দেন টিম সাউদি।

৮ বলে ২ রান করে নিসাঙ্কার ফেরার পর কুসল মেন্ডিসও এক অঙ্কেই ফিরে যান। ৬ রান করে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন যখন মেন্ডিস, লঙ্কানদের ৩০ রানেই চলে যায় দ্বিতীয় উইকেট। দুই রান যোগ হতে না হতেই উইকেটের ঘরে বেড়ে যায় সংখ্যা। সাদিরা সামারাবিক্রমা ১ রানেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ট্রেন্ট বোল্ট পেয়ে যান দ্বিতীয় উইকেট।

একপাশে উইকেটের মিছিল শুরু হয়ে গেলেও অপর পাশে যেন চলছিল অন্য খেলা। উইকেট হারাতে থাকা লঙ্কান ইনিংসে 'নিরাপদ ব্যাটিং' পালিয়ে যায় কুসল পেরেরার ব্যাটে। একের পর এক বড় শট খেলতে থাকেন বাঁহাতি কুসল৷ দেখেশুনে খেলায় মন না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণে শটে রানের চাকাও দ্রুতগতিতে ঘোরান কুসল। ষষ্ট ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটাররা।

২২ বল খেলেই যখন পেরেরা নিজের ফিফটি পেয়ে গেছেন, ততক্ষণে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে ফেলা সারা তার। কিন্তু শূন্য রানে জীবন পাওয়া পেরেরাকে ওই রানেই থেমে যেতে হয়। লোকি ফার্গুসনের বলে আবার মারতে গিয়ে ২৮ বলে ৫১ রানেই আউট হয়ে ফিরেন তিনি। আগের ওভারেই চারিথ আসালাঙ্কাও ৮ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান বোল্টের বলে। ৬ ওভারে ৩০ রানে স্পেলে তিন উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে পঞ্চাশ উইকেটের মাইলফলকও অর্জন করেন বোল্ট।

৭০ রানেই অর্ধেক উইকেট খুইয়ে ফেলা শ্রীলঙ্কা পরে বিপদ সামলায় ষষ্ট উইকেট জুটিতে। পাওয়ারপ্লেতে ৭৪ রান আনা লঙ্কানরা ১৬তম ওভারেই শতরান ছাড়িয়ে যায়। যদিও লঙ্কান ইনিংসে কিউই ধাক্কা আসতে বেশিক্ষণ লাগেনি। মিচেল স্যান্টনার এসে দুর্দান্ত ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ তোলান ১৬ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। এরপর ১৯ রানে ধনাঞ্জয়া দি সিলভাকেও শিকার করেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে। এক রানে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারিয়ে ১০৫ রানেই সাত উইকেটে খুইয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। একাদশে ফেরা চামিকা করুনারত্নেও এক অঙ্কে ফিরে যান।

শ্রীলঙ্কার অলআউট হওয়াটা খুব নিকটেই ছিল। কিন্তু বারবার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েও স্যান্টনারের স্পেল শেষ হয়ে যায় আর কোন উইকেট না পেয়ে। ১০ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট পান বাঁহাতি এই স্পিনার। রাচিন রবিন্দ্র এসে চামিরার উইকেট নিতে পারলেও অন্যপাশে মাহেশ থিকশানা গেড়ে বসেন। একের পর এক ওভার যায়, থিকশানাকে টলাতে পারেনা কিউইরা। বোল্ট এসে তার কোটা শেষ করে যান ৩৭ রানে তিন উইকেটে, ফার্গুসন ৩৫ রানে দুই উইকেটে।

অলআউট হওয়ার সত্যিটা বরণ করে নিতে বড্ড আপত্তি ছিল থিকশানার। শেষমেশ একপাশে অপরাজিতই থেকেছেন ৯১ বলে ৩ চারে ৩৮ রান করে। শেষ উইকেটে দিলশান মাদুশাঙ্কা এসে ৪৮ বলে ১৯ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিলে তারা জুটি গড়েন ৪৩ রানের। দশম উইকেটের সে জুটিতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস তারা টেনে নিয়ে যান ৪৬.৪ ওভারে। যাতে লঙ্কানদের লড়াইয়ের রসদ একটু হলেও বাড়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

19m ago