আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

হেডকে দলে রাখা যায় কি না সে চিন্তায় ঘুম আসেনি কোচের

সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় অজিরা। সেখানে চতুর্থ ওয়ানডেতে চোট পেয়ে যান হেড। পরে জানা যায়, আঙুল ভেঙে যাওয়া হেডের বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধে না থাকা নিশ্চিত। শেষমেশ তার জায়গায় কাউকে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া, ওই ইনজুরিতে থাকা হেডকেই রেখে দেয় স্কোয়াডে।

হেডকে দলে রাখা যায় কি না সে চিন্তায় ঘুম আসেনি কোচের

সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় অজিরা। সেখানে চতুর্থ ওয়ানডেতে চোট পেয়ে যান হেড। পরে জানা যায়, আঙুল ভেঙে যাওয়া হেডের বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধে না থাকা নিশ্চিত। শেষমেশ তার জায়গায় কাউকে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া, ওই ইনজুরিতে থাকা হেডকেই রেখে দেয় স্কোয়াডে।
হেডকে দলে রাখা যায় কি না সে চিন্তায় ঘুম আসেনি কোচের

বিশ্বকাপে ফাইনালে লক্ষ্য তাড়ায় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ট্রাভিস হেড। সেমিফাইনালেও ৬৭ রানের সাথে ২ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচসেরা। শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান হেডের। অথচ সেই হেডকে দলে রাখবেন কি না, সে চিন্তায় ঘুমাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। বিশ্বকাপের আগে আঙুল ভেঙে যাওয়া হেডকে তবুও তারা কেন রাখলেন, কীভাবে রাখলেন। পেছনের কারণ জানা গেল প্যাট কামিন্সের মুখে।

সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় অজিরা। সেখানে চতুর্থ ওয়ানডেতে চোট পেয়ে যান হেড। পরে জানা যায়, আঙুল ভেঙে যাওয়া হেডের বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধে না থাকা নিশ্চিত। শেষমেশ তার জায়গায় কাউকে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া, ওই ইনজুরিতে থাকা হেডকেই রেখে দেয় স্কোয়াডে।

বিশ্বকাপ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে তাকে রাখার ঘটনায় ফিরে গেলেন অধিনায়ক কামিন্স, 'আমরা ভেবেছিলাম তার (হেডের) বিশ্বকাপ শেষ। আমার মনে হয় ওটা ইনজুরির পরদিন রাত ছিল, রনি (কোচ ম্যাকডোনাল্ড) আমার কাছে আসে এবং বলে- আমি কাল সারারাত ঘুমাইনি। আমার মনে হয় আমরা তাকে রাখতে যাচ্ছি। আমরা ঝুঁকিটা নিতে যাচ্ছি। সে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে গিয়ে ঠিক হয়ে যেতে পারে এবং এরপর যদি আমরা নকআউটে যেতে চাই এবং বিশ্বকাপ জিততে চাই, আমার মনে হয় নকআউটে তার থাকা দরকার।'

'তো হ্যাঁ এটা তার (ম্যাকডোনাল্ডের) আইডিয়া এবং বলতে হয় মেডিকেল টিম দারুণ কাজ করেছেন। (হেডকে রাখার) মানে সম্ভবত আপনি স্কোয়াডে দ্বিতীয় স্পিনার রাখতে পারছেন না, যেটা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে অবশ্যই কাজে দিয়েছে।'

শেষমেশ হেড বিশ্বকাপে পা রাখেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পাঁচ ম্যাচ শেষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ অভিষেকেই খেলেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। ইনজুরিতে পড়া এমন একজনকে না রাখাটাই সাধারণ ব্যাপার হতো। কিন্তু প্রথম অর্ধে তাকে পাবে না জেনেও দলে রাখার জন্য নির্বাচকদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন কামিন্স, 'ট্রাভিস দুর্দান্ত ছিল। আমার মনে হয় আমি স্টেজেও বলেছি, অনেক কৃতিত্ব যাওয়া উচিত অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও জর্জ বেইলির, যারা নির্বাচক, এই বাজিটা নেওয়ার জন্য।'

'তার একটি আঙুল ভেঙে গিয়েছিল, ভাঙা হাত অর্ধেক টুর্নামেন্টের জন্য, কিন্তু তবুও তাকে স্কোয়াডে রাখাটা অনেক বড় ঝুঁকির ব্যাপার ছিল। এবং মেডিকেল টিমও অসাধারণ ছিল, তাকে এমন অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য যেখানে সে পারফর্ম করতে পারে।'

যদি এই ঝুঁকিতে সফল না হতেন তবে সমালোচিত হতে পারতেন তারা। কামিন্স বলছেন সেটা মাথায় নিয়েই ঝুঁকি নিয়েছেন তারা, 'সেটা বড় ঝুঁকি ছিল। যদি কাজে না দিত, তাহলে আমাদের হয়তো নির্বোধের দলে ফেলা হতো। কিন্তু  টুর্নামেন্ট জিততে হলে আপনাকে এসব ঝুঁকি নিতেই হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago