আরব আমিরাত ও ভারতে আসছে উড়ন্ত ট্যাক্সি

উড়ন্ত ট্যাক্সি
‘মিডনাইট’ ট্যাক্সি। ছবি: আর্চার অ্যাভিয়েশনের এক্স বার্তা থেকে নেওয়া

এটি এখন আর কোনো কল্পকাহিনী নয়। সাধারণত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে উড়ন্ত ট্যাক্সি দেখা গেলেও বাস্তবে এবার তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ের আকাশে উড়তে দেখা যাবে।

আজ শনিবার রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি দুবাই বিমানবন্দর থেকে পাম সিটি ও রাজধানী আবুধাবির বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রস্থল কর্নিশের মধ্যে চলাচল করবে।

এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অপারেটর আর্চার অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে উড়ন্ত ট্যাক্সি এখন বাস্তবতায় রূপ নিতে যাচ্ছে।

'মিডনাইট' নামের এই ইলেকট্রিক আকাশযানে চার যাত্রী ও পাইলট চলাচল করতে পারবেন। ২০২৫ সালে এই ট্যাক্সি যুক্তরাষ্ট্রে ও এর পরের বছর তা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতে চলাচল করবে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া দুবাই এয়ারশোতে আর্চার অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় উড়ন্ত ট্যাক্সি 'মিডনাইট'র পরীক্ষামূলক চলাচল আয়োজন করা হচ্ছে।

আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ন্ত ট্যাক্সি চলাচলের জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমতি পাওয়া যাবে।

দুবাই এয়ারশো চলাকালে আর্চার অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে দুবাইভিত্তিক প্রাইভেট অ্যাভিয়েশন অপারেটর এয়ার শেতুর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

এয়ার শেতু ৫০০ মিলিয়ন ডলারে ১০০ উড়ন্ত ট্যাক্সি কেনার চুক্তি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি আরব আমিরাতের 'মুবাদালা'র অর্থায়নে সে দেশে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।

আর্চার অ্যাভিয়েশনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিলি নোলেন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, 'আমরা একে শহুরে আকাশ-ট্যাক্সি হিসেবে বিবেচনা করছি। এটি প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে দেড় শ মাইল বেগে চলাচল করতে পারবে।'

মাইলপ্রতি একজন যাত্রীকে চার থেকে পাঁচ ডলার গুণতে হতে পারে বলেও জানান তিনি।

তবে ভারতের কোথায় এই ট্যাক্সি চলবে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago