মুক্ত ফিলিস্তিনের দাবিতে অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ

মুক্ত ফিলিস্তিনের দাবিতে অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ
মুক্ত ফিলিস্তিনের দাবিতে অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

মুক্ত ফিলিস্তিনের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার এক হাজারেরও বেশি স্কুল শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের একটি প্রধান চৌরাস্তা অবরোধ করেছে।

অস্ট্রেলিয়াতে এই প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাল।

অ্যাডিলেডের শিক্ষার্থীরাও আজ পার্লামেন্ট ভবনে বিক্ষোভ করেছে। আগামীকাল সিডনি, ওলংগং ও বায়রন বে'র শিক্ষার্থীরাও সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাবে।

আজ মেলবোর্নের শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবারের সময় স্কুল ছেড়ে বের হয়ে আসে। তারা সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখে ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।

এ সময় গাড়ি ও ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানাতে হবে। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।'

অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার বলেন, 'শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসলে তাদেরকে অনুপস্থিত বিবেচনা করা হবে। তবে আমরা চাই, যে কোনও শিক্ষার্থী এই বিষয়টি নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করুক।'

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বেন ক্যারলও শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'যে কোনও বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা মোকাবিলার জন্য স্কুল সবচেয়ে নিরাপদ এবং সেরা জায়গা।'

সমাবেশের অন্যতম আয়োজক আইভি জানান, 'এই যুদ্ধ অন্যায্য। এটি দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পরিচালিত নৃশংসতার অধ্যায়ে সর্বশেষ সহযোজন।'

আইভি (১৬) আরও বলেন, 'মেলবোর্ন জুড়ে কয়েক ডজন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও ফিলিস্তিনের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে।'

আয়োজকরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য কিছুই না করার অভিযোগ তোলে এবং ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার দাবি জানায়। তারা ইসরায়েলি সেনাদের অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে এবং শিগগির যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানায়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষামন্ত্রী প্রু কার মত দেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে না যেয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি সিডনি রেডিও স্টেশন টুজিবিকে বলেন, 'আমরা বুঝতে পারি যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে আবেগপ্রবণ হতে পারে। তবে তাদেরকে অবশ্যয়ই স্কুলে থাকতে হবে।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

6h ago