আমিরাতে ফিরছে বাংলা সিনেমা, হবে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস।
আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

আমিরাতের হলে বাংলা সিনেমা রিলিজ, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও শুটিংয়ের ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনস।

শুরুতে দেশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমিরাতের মাটিতেও প্রবাসীদের জন্য রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।

গত মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিখ্যাত জুয়েলারি ডিজাইনার ও বাংলা আর্ট উইক-এর কর্ণধার নীহারিকা মমতাজ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে প্রথম বাংলা ছবি পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আমিরাতভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল ও রেশ রাজ ফিল্মের প্রতিষ্ঠাতা কৃশনান রাজারান।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নীহারিকা মমতাজ প্রোডাকশনের উদ্যোগে ও মিডিয়া মেজ-এর সহযোগিতায় আমিরাতের সিনেপ্লেক্সে আবারো ফিরে আসছে বাংলা সিনেমা। মিতালী পারকিন্সের প্রখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে অমিতাভ রেজা পরিচালিত 'রিক্সা গার্ল' প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুনভাবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর। ইবনে বতুতা মলে নভো সিনেমা ও দেরা সিটি সেন্টারের ভক্স সিনেমায় দেখা যাবে সিনেমাটি। টিকিট পাওয়া যাবে ভেন্যুতে।

নীহারিকা মমতাজ জানান, বাংলা আর্ট ও কালচারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া তার স্বপ্ন এবং কেবল বাংলা ছবি পরিবেশনার মাঝেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি ভবিষ্যতে দুবাইয়ে বার্ষিক বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ফিল্মফেয়ারের মতো আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার অনুষ্ঠান ও ছবির শুটিংয়ের আয়োজন করতে আগ্রহী।

এর আগে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দুবাইভিত্তিক মিডিয়া মেজ ও কানাডাভিত্তিক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর মাধ্যমে আমিরাতের সিনেপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছিল পরবাসিনী, নবাব, ঢাকা অ্যাটাক, দেবীর মতো হিট বাংলা ছবি। এরপর আর আসেনি বাংলা সিনেমা।

মিডিয়া মেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইখতিয়ার পাভেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমিরাতে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা ছবির প্রদর্শন নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। যদিও বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান যা আমেরিকা, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় ছবি পরিবেশনের ক্ষেত্রে নেই। এসব বাধা দূর করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও এজন্য বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Comments