ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

এসআই রেদওয়ান হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজ থানার বাইরে অন্য থানায় অননুমোদিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের মিথ্যা মামলায় ফাসানোর ঘটনায় কাউনিয়া থানার সাব ইনসপেক্টর (এসআই) রেদোয়ান ইসলাম রিয়াদকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোসলেম জমাদ্দারের ছেলে আবদুল্লাহ বিন লাদেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসআই রেদোয়ান ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোসলেম জমাদ্দার বলেন, 'আমি ও আমার ছেলে আবদুল্লাহ বিন লাদেন মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর থেকে উপবন লঞ্চে বুধবার সকাল ১০টায় বরিশাল লঞ্চঘাটে নামার পরেই আমাদের দুজনকে পুলিশ দেহ তল্লাশি করতে চাইলো। কিছু শোনার আগেই তারা আমাদের দেহ তল্লাশি করে কিছু পেল না।'

'পরে লঞ্চঘাটের পন্টুনে তারা ৩টি ইয়াবা পাওয়া গেছে জানালে আমরা প্রতিবাদ করি। কিন্তু তারা আমাদের ছাড়ল না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা লঞ্চঘাট সংলগ্ন একটি মাঠে নিয়ে আমাদের বসিয়ে রাখা হয়। তারা আমাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। আমরা বলি, আমাদের ঘরের সব জিনিস বিক্রি করলেও ১ লাখ কেন এর অর্ধেক টাকাও হবে না। তখন তারা সর্বশেষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। তারা একটি বিকাশ নম্বরও দেয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের ছিল না। আমরা বরিশালে এসেছিলাম অন্য একটি মামলার কাজে। সামান্য কিছু টাকা, লঞ্চ ভাড়া ছাড়া আমাদের হাতে কিছু ছিল না। বিকেল সাড়ে ৪টায় দুই পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার ছেলেকে কাউনিয়া থানায় ৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে আটকে রাখে,' বলেন তিনি।

সরকারি আলেকান্দা কলেজের একাদশ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বিন লাদেনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত জামিন দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযুক্ত কাউনিয়া থানার এসআই রেদয়োন ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে রাতেই তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় বলে পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, 'এসআই রেদোয়ানের বিরুদ্ধে নিজ থানার বাইরে গিয়ে অননুমোদিতভাবে অভিযান পরিচালনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তে উপ-কমিশনারকে (দক্ষিণ) প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s human rights situation stable, but concerns remain: US State Dept report

It also highlights severe curbs on free speech, media, labor rights, and child protection, including violence, censorship, and unjustified arrests

1h ago