নায়ক থেকে খলনায়ক ‘জাত শিল্পী’ খলিল
এ দেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে খলিল নামেই পরিচিত ছিলেন অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান। জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত এই গুণী অভিনেতা ৮০০ সিনেমায় অভিনয় করে রেকর্ড গড়ে গেছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর তার প্রয়াণ দিবস।
জীবদ্দশায় তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন। বিশেষ করে আলোচিত ধারাবাহিক নাটক 'সংশপ্তক' এ তিনি ফেলু মিয়া (মিয়ার বেটা) চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান।
খলিল অভিনীত সাড়া জাগানো কয়েকটি সিনেমা হচ্ছে, আলোর মিছিল, ফকির মজনু শাহ, বেঈমান, বিনি সুতার মালা, মাটির পুতুল, পাগলা রাজা, নদের চাঁদ, এতটুকু আশা, পুনম কি রাত, তানসেন, মিন্টু আমার নাম, গুন্ডা, বারুদ, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, বাদী থেকে বেগম ইত্যাদি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নাট্যকার মামুনুর রশীদ 'সংশপ্তক' নাটকে খলিলের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তিনি বলেন, 'খলিল ভাই ছিলেন শক্তিমান অভিনেতা, বড় মাপের অভিনেতা। তিনি অভিনয়পাগল শিল্পী ছিলেন। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে গেছেন। তিনি ছিলেন জাত শিল্পী। সব ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন।'
তারিক আনাম খান বলেন, 'খলিল ভাইয়ের সঙ্গে সাড়া জাগানো নাটক "সংশপ্তক" এ অভিনয় করেছিলাম। ভীষণ গুণী শিল্পী ছিলেন তিনি। ভীষণ ভালো মানুষও ছিলেন। সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। এ দেশের সিনেমায় অনেক কিছু দিয়ে গেছেন তিনি।'
শবনম বলেন, 'খলিল ভাই তো শুরুতে নায়ক ছিলেন। নায়ক হিসেবে সিনেমা করার পর খলনায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। সিনেমার প্রতি তার ছিল প্রবল ভালোবাসা। অনেক সিনেমা করে গেছেন একজীবনে। তার ধ্যান-জ্ঞান ছিল অভিনয়। গুণী মানুষ ছিলেন, গুণী অভিনেতা ছিলেন। বাংলা সিনেমায় তার অবদান অনেক।'
খলিলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দিলারা জামান বলেন, 'সংশপ্তক নাটকের কথা মনে পড়ছে। কি দুর্দান্ত অভিনয়! একটি সংলাপ দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। তার সংলাপ "টাকা আমার চাই নইলে জমি…" এটা যে কী জনপ্রিয় হয়েছিল ওই সময়…। অভিনয় করার প্রচণ্ড মেধা নিয়ে জন্মেছিলেন মানুষটি।'
Comments