মিরপুর টেস্ট

ব্যাটিং ধসে একা লড়লেন কেবল জাকির, নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ১৩৭

Zakir Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওপেন করতে নেমে একের পর এক উইকেট পতনের মাঝে লড়ে গেলেন কেবল জাকির হাসান। তিনি ছাড়া এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনারকে জবাব দেওয়ার উপায় খুঁজে পেলেন না আর কেউ। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই তাই হুড়মুড়িয়ে ধসে গেল স্বাগতিকদের ব্যাটিং।

শনিবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে আর ২৭ ওভার টিকেছে বাংলাদেশের ইনিংস। নাজমুল হোসেন শান্তর দল গুটিয়ে গেছে ১৪৪ রানে। এই টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনতে তাই ১৩৭ রান দরকার কিউইদের। দলের ১৪৪ রানে জাকির একাই করেন ৫৯ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্ত ১৫! এতে বোঝা যাচ্ছে কতটা একার লড়াই ছিলো জাকিরের।

বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিতে ব্ল্যাকক্যাপসদের হিরো এজাজ। ৫৭ রানে ৬ উইকেট তুলেছেন তিনি। ৫১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্যান্টনার।

২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। এদিন বাকি ৮ উইকেটে আর যোগ হলো ১০৬ রান। কঠিন উইকেটে যতক্ষণ সম্ভব টিকে লিড বড় করার পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে বেশ নড়বড়ে অবস্থা হয় স্বাগতিক ব্যাটারদের। এজাজ  ও স্যান্টনারের তোপে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

কুয়াশায় ঢাকা সকালে নেমে মুমিনুল আর জাকির ছিলেন নড়বড়ে। মুমিনুলকেই বেশি আড়ষ্ট দেখাচ্ছিল। শুরুর কিছু সময় পার করে দিলেও মুমিনুল টেকেননি। এজাজের ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এসে টিকেছেন স্রেফ ১২ বল। মিচেল স্যান্টনারের বলে ডানহাতি ব্যাটার দেন স্লিপে ক্যাচ। তরুণ শাহাদাত হোসেনকেও শিকার ধরেন স্যান্টনার। সোজা বলে এলবিডব্লিউ তিনিও।

প্রথম ঘণ্টার পানি পানের বিতরিতে উইকেট পতনেরও যেন খানিকটা বিরতি। বিরতি শেষে খেলা শুরু হতে ফের ধস।  মেহেদী হাসান মিরাজ  এজাজের বল স্লগ সুইপে উড়াতে গিয়ে ব্যাটে পুরো নিতে পারেননি। টপ এজড হয়ে উঠে ক্যাচ। মিড অন থেকে অনেকখানি দৌড়ে ক্যাচ নেন স্যান্টনার। 

কিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান নিজের জায়গা আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেরেন দৃষ্টিকটু আউটে। এজাজের এক বল রিভিউ নিয়ে রক্ষার পর পরের বলে স্কুপ শট খেলতে গিয়ে পারেননি, পরাস্ত হয়ে পায়ে লাগিয়েও রিভিউ নিয়ে তা নষ্ট করে নেন বিদায়। এই টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসে তার রান ২৯, ১০, ৭ ও ১০। সিরিজে খেলা প্রতি বলেই তাকে মনে হয়েছে নড়বড়ে।

সোহানের বিদায়ের পর নাঈম হাসান এসে ১৫ রানের জুটি আনেন জাকিরের সঙ্গে। তাইজুলের সঙ্গেও আরও ১৬ রান যোগ করেন জাকির। এজাজের পঞ্চম শিকার হয়ে তিনি বিদায় নিলে দেড়শো ছাড়ানোর আশা মিইয়ে যায় বাংলাদেশের। শরিফুল-তাইজুল মিলে অবশ্য আরও ১৬ রান যোগ করে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেন।

মিরপুরের উইকেটে ১৩৭ রান করাও হয়ত সহজ নয়। তবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রত্যাশার ধারেকাছেও খেলতে পারেননি। এখন তিন স্পিনারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তকে। 

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

3h ago