এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনে আরও সুরক্ষিত ফেসবুক মেসেঞ্জার

মেসেঞ্জারে 'বাই ডিফল্ট' এনক্রিপটেড মেসেজ চালু হতে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
মেসেঞ্জারে 'বাই ডিফল্ট' এনক্রিপটেড মেসেজ চালু হতে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

মেসেঞ্জারের সব ধরনের চ্যাট ও কলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।

মেসেঞ্জারে এর আগেও এনক্রিপশন ছিল, তবে তা নিজে থেকে চালু করতে হত।

যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী এ সম্পর্কে জানতেন না। অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও সঠিক অপশন খুঁজে না পেয়ে ব্যবহার করার সুযোগ পায়নি।

বর্তমানে অনলাইনে নিরাপদ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এনক্রিপটেড মেসেজের সঙ্গে বিশেষ কোড যুক্ত করা থাকে। যার ফলে যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তিনি ছাড়া আর কেউ সে মেসেজ পড়তে পারেন না। প্রাপকের কাছে মেসেজ পৌঁছানোর পর স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় মেসেজটি 'ডিকোড' করে তাকে দেখানো হয়। কলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। এনক্রিপটেড কলে কোনো তৃতীয় পক্ষের আড়িপাতার সুযোগ নেই। 

যার ফলে, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া এই মেসেজ বা কলের বিষয়বস্তু অন্য কেউ জানতে পারেন না—এমন কী, ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষও নয়।

মেটা জানিয়েছে, সব ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্টে নতুন আপডেট আসতে কিছু সময় লাগতে পারে। তবে আপডেট পাওয়ার পর থেকে এই সুবিধা চালু হয়ে যাবে। পাঠকরা সম্ভবত অনেকেই ইতোমধ্যে এই সুবিধা পেয়ে গেছেন।

আগেও মেসেঞ্জারে এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালু ছিল। তবে সেক্ষেত্রে প্রেরককে 'রিড অনলি' হিসেবে বার্তা পাঠাতে হতো। এখন নতুন আপডেটের পর সব চ্যাট ও কলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এনক্রিপশন সুবিধাটি চালুর ঘোষণা দিলো মেটা।

মেটার মালিকানাধীন অপর সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে আগে থেকেই স্বয়ংক্রিয় এনক্রিপশন চালু আছে এবং প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে এ ফিচারটি চালুর ফলে হ্যাকার, প্রতারক ও সাইবার অপরাধীদের কাছ থেকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।

বিশ্বব্যাপী এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন অ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং একই সঙ্গে ফিচারটি নিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে বিতর্কও বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ সরকার মেটাকে এনক্রিপটেড মেসেজ চালুর আগে মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

8h ago