অন্তত ৩০ রানের ঘাটতির আক্ষেপ বাংলাদেশের
মাউন্ট মঙ্গানুইতে যেমন উইকেট হয়ে থাকে, এই উইকেট তেমন ছিলো না। প্রথম দুই ওভারের পরই বাংলাদেশ বুঝে গিয়েছিলো উইকেটের ধরণ। তবে সব বুঝেও যথেষ্ট পুঁজি না পাওয়ার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে দলকে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সিরিজ জিততে না পারায় শেষ ম্যাচে ৩০-৪০ রানের ঘাটতি দেখছেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
রোববার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডিএলএস মেথডে বাংলাদেশ হারে ১৭ রানে। এতে সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়। আগে ব্যাটিং পেয়ে মাত্র ১১০ রান করার পরও দলকে লড়াইয়ে রাখেন বোলাররা। ৪৯ রানে কিউইদের ৫ উইকেট ফেলে জেতার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিলো।
জিমি নিশাম-মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে যা উবে যায়। ১৪.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে ৯৫ তোলার পর নামে বৃষ্টি। ডিএলএস মেথডে সহজেই জিতে যায় স্বাগতিকরা।
এদিন বাংলাদেশকে হারাতে অগ্রণী ভূমিকা নেন স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনে ১৬ রান ৪ উইকেট পান তিনি। নিউজিল্যান্ডের তিন পেসারও গতি বৈচিত্র্যে ভোগান ব্যাটারদের। উইকেটের মন্থরতা কাজে লাগিয়ে সাফল্য পান শেখ মেহেদী আর শরিফুল ইসলামও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে হাথুরুসিংহে জানান ১৪০-১৫০ রান করলে ভিন্ন কিছু হতে পারত, 'আমার মনে হয় দুই ওভার পরই আলোচনা করছিলাম যে এটা ১৬০ রানের উইকেট হবে না, এখানে ১৪০-১৫০ রানের উইকেট হবে। কিন্তু অবশ্যই আমরা সেটাও অর্জন করতে পারিনি, ভালো ব্যাট করিনি।'
তবে অল্প পুঁজি নিয়েও বোলারদের লড়াইয়ে মুগ্ধ তিনি, 'আমাদের রান কম ছিল। কিন্তু বোলাররা আমাদের ম্যাচে রেখেছি। পুরো সিরিজজুড়ে যেভাবে বল করেছি, বেশ মুগ্ধ করার মতো।
শেষ ম্যাচ হারলেও নিউজিল্যান্ডের এই সফরকে সফল বলতে চান বাংলাদেশের কোচ। নিউজিল্যান্ডের মাঠে প্রথমবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জেতায় স্বস্তি আছে তার, 'আপনি যেমন বললেন, সিরিজের শুরুতেই আমরা বলছিলাম আগে কী করেছি। আর আমরা তার চেয়ে ভালো করতে চাই। এদিক থেকে এটা খুব সফল একটা সফর।'
Comments