আকাশে উড়ছেন জামাল
অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন আমির জামাল। সিডনিতে তো করলেন রেকর্ড গড়া বোলিং। এর আগে করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিংও। তাতে কিংবদন্তি ইমরান খানের পাশে দাঁড়ালেন এই তরুণ। সবমিলিয়ে যেন আকাশে উড়ছেন তিনি। কিন্তু তারপরও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যন্সের পর ব্যাট হাতেও তার কাছে আরও দারুণ কিছু চাইছে দলটি।
শুক্রবার সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৮২ রানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দলটি। এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৯ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ১৪ রানের লিড নিয়েছিল সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করার পর সম্প্রচারকদের সঙ্গে জামাল বলেছেন, 'মনে হচ্ছে আমি আকাশে উড়ছি। এই পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্ব লাগছে। এখনো মনে আছে, সেসব দিনে পাকিস্তান দলের খেলা দেখেছি... এমনকি আমি রান দিলেও সব সময় সেসব স্মৃতি মনে করি। কোচেরা আমাকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। ২২৭ রানে আমাদের ৭ উইকেট পড়েছিল। আমার মনে হয় ওই জুটিটি আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে। এখন আমরা কিছু রান এগিয়ে আছি, যেটা গুরুত্বপূর্ণ।'
সকালে আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। দুই অপরাজিত ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথ গড়ে তোলেন ৭৯ রানের জুটি। লাবুশেনকে তুলে এ জুটি ভাঙেন আঘা সালমান। এরপর দ্রুত ট্রাভিস হেডকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জামাল। তবে আলেক্স ক্যারিকে সঙ্গে নিয়ে ৮৪ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মিচেল মার্শ। ক্যারিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সাজিদ খান। এরপর জামালের তোপে পড়ে দলটি। মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে শেষ চারটি উইকেট তুলে নেন এই পেসার। ফলে প্রথম ইনিংসে লিড পায় পাকিস্তান।
শেষ পর্যন্ত ৬৯ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট পান জামাল। তাতে নতুন এক রেকর্ড গড়েন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিন কিংবা তার কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকে ১৮ উইকেট নিলেন জামাল। এছাড়া এক টেস্টে আশির বেশি রান করার পর ছয় উইকেট পাওয়া দ্বিতীয় পাকিস্তানি খেলোয়াড় এই তরুণ। এর আগে ১৯৮৩ সালে ফয়সালাবাদ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর প্রথম ইনিংসে ১১৭ রান করেছিলেন ইমরান।
তবে প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই খালি হাতে পারেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক শান মাসুদ। এরপর অবশ্য সিয়াম আইয়ুবের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। কিন্তু এরপর হঠাৎই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। বিশেষকরে ২তম ওভারে তিনটি উইকেট তুলে পাকিস্তানকে বড় বিপদে ফেলে দেন জস হ্যাজলউড।
সবমিলিয়ে চার ব্যাটার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। আইয়ুব ৩৩ ও বাবর ২৩ রান করেন। তবে আশা জাগিয়ে টিকে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬ রানে ব্যাটিং করছেন তিনি। শূন্য রানে তার সঙ্গে আছেন জামাল। প্রথম ইনিংসে এ দুই ব্যাটারই আশির বেশি রান করতে পেরেছিলেন।
Comments