‘ডিপফেক’ ভিডিওর শিকার হয়ে বিরক্ত টেন্ডুলকারের আহবান

sachin tendulkar
ছবি: এএফপি

বেশিরভাগ মানুষ ভিডিওটি দেখলে টেরই পাবেন না যে এটি আসলে শচীন টেন্ডুলকারের নয়। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের চেহারা ও কণ্ঠ হুবহু নকল করে প্রযুক্তির সাহায্যে একটি জুয়ার বিজ্ঞাপনী অ্যাপে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরক্ত শচীন এই ভুয়া ভিডিওতে অভিযোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সবাইকে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শচীন বলছেন, 'এই অ্যাপে আমার মেয়ে খেলে। এখানে খেলে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার রুপি আয় করা যায়। আমি তো অবাক হয়ে যাই এখন কত সহজে আয় করা যায়।'

চেহারা ও কণ্ঠ হুবহু শচীনের মতন হলেও এটি আসলে শচীনের নয়। মূলত প্রযুক্তির সাহায্য পুরো ব্যাপারটি সাজানো হয়েছে। শচীনের পুরনো একটি ভিডিওতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নকল কণ্ঠ। কোন ব্যক্তির শরীর বা কণ্ঠ নকল করে বসানো ছবি বা ভিডিওকে ডিপফেক কনন্টেন্ট বলা হয়। শচীন শিকার হয়েছেন এমন প্রযুক্তিরই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করে মাস্টার এই ব্যাটার এই ভুয়া বিজ্ঞাপনে রিপোর্ট করতে অনুরোধ করেন,  'এই ভিডিওগুলো ভুয়া। প্রযুক্তির অপব্যবহার খুবই বিরক্তির। সবাইকে অনুরোধ করব এইসব ভিডিও, বিজ্ঞাপন, অ্যাপে রিপোর্ট করুন।'

মানুষকে আহবান জানানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষদের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন এই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার,  'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর এসব অভিযোগের বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। ভুল তথ্য ও ডিপফেক ছড়ানো বন্ধে তাদের দিক থেকে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।'

গত বিশ্বকাপের সময় শচীনের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারও ডেপফেকে শিকার হয়েছিলেন। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল শুবমান গিলের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন সারা। আসলে গিল নয় সারার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই অর্জুন টেন্ডুলকার। ডিপফেকের মাধ্যমে গিলকে কেটে অর্জুনের উপর বসিয়ে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago