​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সাভারে আনলিমা টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানা চত্বরে বিক্ষোভ করছেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারে অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার অন্তত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সাভারের উলাইল এলাকায় আনলিমা টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানাটিতে কাজ বন্ধ রেখে কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত কিছুদিন যাবত অন্যায়ভাবে কারখানাটির শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে আসছে, পাশাপাশি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির টাকাও পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাদের সঙ্গে রুঢ় আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বিকেল ৪টা পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানা চত্বরের ভেতরে অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে।

তবে শ্রমিকদের এসব অভিযোগ নাকচ করে কারখানাটির অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআর এডমিন) মো. কাইয়ুম বলেন, অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ঠিক নয়। কারখানায় কাজ কম থাকায় অনেক শ্রমিক রিজাইন দিয়ে চলে গেছেন। যারাই রিজাইন দিয়েছেন, প্রত্যেককে সার্ভিস বেনিফিটসহ সব ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকরা আজ কারখানার মহাব্যবস্থাপক গোলাম কিবরিয়াকে মারধর করেছে।

কারখানার একজন সুইং অপারেটর ডেইলি স্টারকে বলেন, আমাদের এখানে কর্তৃপক্ষ ছুটির টাকা দেয় না। গত কয়েকমাস যাবত কথায় কথায় অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। যাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে তাদের কোনো সার্ভিস বেনিফিট দেওয়া হচ্ছে না।

আজ সকালেও সুইং শাখার দুই শ্রমিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার এবিএম রাশিদুল বারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। আশা করি কিছু সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।

কারখানার মহাব্যবস্থাপককে মারধর প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে শ্রমিকরা মারধর করেছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের দাবি জিএম শ্রমিকদের মারধর করছিল, তখন শ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে তিনি একাই পড়ে গিয়ে অসুস্থ হন।

Comments

The Daily Star  | English

Three of a family 'beaten to death' in Cumilla

Police say villagers beat them on suspicion of drug trading

59m ago